সর্বশেষ সংবাদ :

ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের তান্ডব বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে কলেজ ছাত্রলীগের এক নেতা বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দাশুড়িয়া ডিগ্রী (অনার্স) কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা। বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দাশুড়িয়া রেলস্টেশনে বেপরোয়া গতিতে মোটর সাইকেল চালাচ্ছিলেন দাশুড়িয়া ডিগ্রি (অর্নাস) কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফাহিম হোসেনসহ তাঁর সহযোগীরা। সে সময় সড়ক পারাপারের সময় দাশুড়িয়া মাদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক তরিকুল ইসলামের ছেলে সজিবকে ধাক্কা দিলে ফাহিমের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তি হয়।
এর জেরে ফাহিমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ওই ইউনিয়নের চাঁদপুর গোরস্থান পাড়া এলাকার তরিকুল ইসলাম, আবু তালেব, ফরিদ ও সুরুজ মোল্লার বাড়িতে হামলা চালান।
এ সময় বাড়িতে থাকা তাঁদের বৃদ্ধ মা, কিশোরী দুই বোন, কিশোর ভাতিজা ও বড় ভাইকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এতে দুইটি মোটরসাইকেল, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাংচুর, নগর টাকা ও স্বর্ণ অলংকার লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, দাশুরিয়া রেলস্টেশনের অদুরে ভুক্তভোগী সুরুজ মোল্লার বাড়ি। স্থানীয় লোকজন বাড়ির ফটকের ভাঙা অংশ দেখে আলাপ করছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল টিন দিয়ে তৈরি বাড়ির প্রধান ফটকের নিচের অংশ কাটা পড়ে আছে। পাশেই একটি জানালার কাচ ভাঙা। বাড়ির পূর্ব পাশে দুটি জানালায় দায়ের কোপ দেখা গেছে। পাশেই প্রতিবেশী আরেকজনের বাড়ির দরজায়ও কোপ দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মাদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক তরিকুল ইসলাম জানান, হামলাকারীরা তাকে উপর্যুপরি কিলঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় বাড়ির গেট খুলে বাইরে বের হলে তাঁর দুই মেয়ে দৌড়ে বাসায় ঢুকে যান। তিনি তৎক্ষণাৎ বাসার গেট বন্ধ করে দেন। এ সময় রামদা, লোহার পাইপ সহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা চালান তাঁরা। ঘরের প্রধান ফটক, কক্ষের আসবাবপত্র ও জানালা ভাঙচুর করেন।
ভুক্তভোগী ফরিদ ও সুরুজ মোল্লা বলেন, তাঁরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। হামলাকারীরা যাওয়ার সময় তাঁর ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গেছে। এ ঘটনায় তাঁরা নিরাপত্তা চান।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে হামলাকারীদের দুটি মটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বলেন, ‘এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে আমি অবগত নই।’


প্রকাশিত: মে ২০, ২০২৩ | সময়: ৫:২০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ