ঠিকাদারী ছেড়ে পোলট্রিতে সফল মুন্না

জয়পুরহাট প্রতিনিধি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেরও সব জিনিস পত্রের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানুষ বিভিন্ন পেশায় জীবনজীবীকা পরিচালনা করে সংসার চালায়। দ্রব্য মূল্যের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেকেই আবার পেশা পরিবর্তন করছেন।
পেশ পরিবর্তনের কারণ হিসাবে তারা বলেন, কোন পেশায় ক্ষতি আবার কোন কিছুতে লাভের আশায়। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ঠিকাদারী পেশার সঙ্গে জড়িত জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর শহরের দানেজপুর এলাকার আব্দুল মান্নান মুন্না। তিনি ঠিকাদারী পেশার পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর থেকে পোলট্রি খামার গড়ে তুলেছেন। পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় তার পরিবারের অন্য সদস্যদের ন্যায় তিনিও (৪-৫) টি দ্বিতল ও তিনতলা বিশিষ্ট মুরগীর খামার করেছেন। এসব খামারে এখন দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির ২০-২৫ হাজার মুরগীর চাষ হচ্ছে।
তার খামারে মাংস জাতের ও ডিম দেওয়া মুরগী পালন হচ্ছে। খামারের ডিম থেকেই নিজস্ব হ্যাচারির মাধ্যমে ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব বাচ্চা নিজের খামারে লালন-পালনের পাশাপাশি অন্য খামারীদের নিকট বিক্রয় করেন তিনি। মুন্নার খামারে বেশ কজন নারী-পুরুষ শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। ঠিকাদারী পেশার তুলনায় পোলট্রি সেক্টরে লাভবান হওয়ায় কয়েক একর জমির উপর বিশাল আকারের ফার্ম গড়ে তুলছেন তিনি।
খামারী মুন্না বলেন, পেশায় আমিত একজন ঠিকাদার তবে এর পাশাপাশি খামার গড়ে তুলেছি লাভও ভালো হচ্ছে। সরকার যদি খামারের উপর স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করত তাহলে এর পরিধিটা আরো বৃদ্ধি করা যেত।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিয়ায কাযমীর বলেন, উপজেলায় ছোট-বড় প্রায় ১২ থেকে ১৫’শ মুরগীর খামার আছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিনিয়ত এসব খামারে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি স্বার্বিকভাবে দেখভাল করা হচ্ছে প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৩ | সময়: ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ