শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টারঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা বিভাগের রাতুল কুমার বর্মন নামে এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্ত্বর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এসময় অপহৃত ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন পুলিশ সদস্যরা।
ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী রাতুল কুমার বর্মন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চান্দলাই গ্রামের মৃত অসীম কুমার বর্মনের ছেলে রাতুল কুমার বর্মন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তাররা হলো- রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার রানীনগর হিন্দুপাড়ার ইন্দ্রজিৎ সরকারের ছেলে পবন সরকার উদয় (১৯), রাজপাড়া থানার হড়গ্রাম বাজার এলাকার মৃত সাইদুল ইসলামের ছেলে দাউদ ইব্রাহিম সাফি (২২), একই এলাকার মৃত সুরে জামাল শেখের ছেলে পলাশ কবির (২৬), কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম পালপাড়ার হরেন্দ্রনাথ পালের ছেলে প্রবীন পাল রুদ্র (২০) ও একই এলাকার শামসুর রহমান বাদলের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান নুর (২০)। সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চান্দলাই গ্রামের মৃত অসীম কুমার বর্মনের ছেলে রাতুল কুমার বর্মনের সাথে আসামি পবন সরকারের মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় পবন সরকার মোবাইল ফোনে রাতুলকে কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড়ের জামিল চত্ত্বরে আসতে বলে। রাতুল সেখানে গিয়ে তার ছোট ভাই দিবাকর বর্মনের মেসে থাকা নিয়ে পবনের সাথে কথা বলে। কথা শেষ করে রাতুল সেখান থেকে যেতে চাইলে পবনের অপর সহযোগী দাউদ ইব্রাহিম ও পলাশ তাকে অপহরণ করে হড়গ্রাম বাজারে দাউদ ইব্রাহিমের একতলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করে। পরে রাত ৯টার দিকে আসামিরা রাতুলের মোবাইল ফোন হতে তার মায়ের মোবাইল ফোনে কল করে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। রাতুলের মা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা প্রেরণ করে। আসামিরা অবশিষ্ট টাকার জন্য রাতুলকে আবারও মারধর করে জখম করে। এক পর্যায়ে রাতুলের চিৎকারে স্থানীয় এক বাসিন্দা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই বাড়ি থেকে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেন এবং রাতুলকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় রাতুল ওই ৫ জনের নামে অপহরণ, মারধর ও টাকা আদায়ের অভিযোগে মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সানশাইন/টিএ