পত্নীতলায় পাঁচ ভূয়া চিকিৎসক গ্রেফতার

পত্নীতলা প্রতিনিধি: পত্নীতলায় র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প অভিযান চালিয়ে ৫জন ভূয়া চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদর নজিপুর বাজার ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্প কর্তৃক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, সোমবার সন্ধ্যা পৌণে ৭টায় র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোস্তফা জামান ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানার নেতৃত্বে নজিপুরে অভিযান পরিচালনা করে জাল অটো সিল ২টি, বিভিন্ন সিল ১৫০টি, প্রেসক্রিপসন প্যাড ৬টি, সার্জিকেল টুলবক্স ৫টি, রক্তচাপ মেশিন ৬টি, সার্জিকেল কাচি ৪টি, স্টেথোস্কোপ ৬টি, ফোর্সেপ ৩২টি, ডিজিটাল থার্মোমিটার ২টি, অপথালমিক গ্লাস সেট ১শটি, অপথালমিক চেকিং মিটার ১টি, টোনোমিটার ১টি, চোখের দৃষ্টি মাপার যন্ত্র ১টি, টর্চ লাইট ৩টি, হাতঘড়ি ২টি, নগদ ৯হাজার টাকা, মানিব্যাগ ৩টি, মোবাইল ৬টি, সিমকার্ড ১২টি, চেক ২টিসহ রেজিস্ট্রেশন বিহীন ভূয়া ডাক্তার উপজেলার পুঁইয়া গ্রামের রাজকুমার চৌধুরীর ছেলে চপল চৌধুরী (২৬), চকশিবরাম গ্রামের ভক্তভূষণ সরকারের ছেলে গোলাপ কুমার সরকার (৩২), আমবাটি গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে আবুল কাশেম মিঠু (৩৯), বালুঘা পূর্বপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোশারফ হোসেন রাজু (৩২) ও নাজিপুর পুরাতন বাজার গ্রামের শাহিনুর রহমানের ছেলে গোলাম সারোয়ার সোহানকে (২৯) গ্রেফতার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আটককৃতরা কেউই এমবিবিএস বা বিডিএস ডিগ্রি অর্জনের কোন অনুমোদিত সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি। তারা চিকিৎসার প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না রেখেই রোগীদের ওষুধ লিখে দিচ্ছিল।
এমনকি তাদের মধ্যে কয়েকজন শরীরের ভাঙ্গা হাড়ের সার্জিক্যাল প্লাস্টার করতেন। কেউ কেউ নিজেকে মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিতেন। তারা সবাই মেডিকেল দোকান চালাচ্ছিলেন এবং কয়েক বছর ধরে অনুশীলন করছিলেন। পরবর্তিতে আসামীদের বিরুদ্ধে পত্নীতলা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০২২ | সময়: ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ