বাংলাদেশকে নিয়ে হোমওয়ার্ক করেই এসেছে নিউ জিল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক: নিজেকে নিয়ে গর্ব লুকি ফার্গুসনের। বর্তমান সময়ে যে সব পেসারদের নিয়ে আলোচনা হয় তাদের মধ্েয তিনি অন্যতম। বোলিংয়ে যেমন গতি তেমন ভয়ংকর অ্যাপ্রোচ। ইনিংসের মধ্যভাগে তাকে সামলানোর পথ খুঁজতে ঘাম ঝরাতে হয় ব্যাটারদের। তবে এবারের গর্বের জায়গাটা ভিন্ন। পেস বোলার হিসেবে ফার্গুসন পেয়েছেন কিউইদের দায়িত্ব। অধিনায়ক ফার্গুসনের মুখে তাই হাসির ঝিলিক।
‘নিশ্চিতভাবেই অধিনায়ক হতে পারা গর্বের। যদিও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি যখন তিন অধিনায়কই বাইরে আছে। তবুও এটা আমার গর্বের কারণ। পেস বোলার হিসেবে আপনার এমনিতেই চ্যালেঞ্জ থাকে। এবার বাড়তি দায়িত্ব যুক্ত হয়েছে যা নিশ্চিতভাবেই আমার কাজটাকে আরও আনন্দিত ও চ্যালেঞ্জিং করে তুলবে।’
উপমহাদেশে সফরে এসে সচরাচর ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার দলগুলো প্রস্তুত হতে সময় নেয়। প্রস্তুতি ম্যাচ, অনুশীলন পর্বে বেশ সময় ব্যয় করেন। কিন্তু এবার তেমন কিছুই নেই। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ফার্গুসনদের। ‘খুব ভালো লাগছে এখানে প্রথমবার এসে। ইংল্যান্ড থেকে এসেছি। কন্ডিশন পুরোপুরি ভিন্ন। তবে একটা বিষয় হলো, আমি উপমহাদেশে খেলতে পছন্দ করি। এখানে চ্যালেঞ্জটা ভিন্ন। নিজের সঙ্গে জিততে হয়। আরেকটি বিষয়, বাংলাদেশ কিন্তু নিজেদের কন্ডিশনে শক্তিশালী দল। এখানে শেন জার্গেনসন ছিলেন। এছাড়া বেশ কিছু খেলোয়াড় আগেও সফর করে গেছে। তাদের কাছ থেকে জানতে পারছি এখানের উইকেটের আচার-আচরণ।’
নিউ জিল্যান্ড খুব ভালোভাবেই জানে ধীর গতির টার্নিং উইকেট তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। এজন্য প্রস্তুতিতে স্পিন সামলাতে বেশি সময় দিচ্ছে তাদের ব্যাটাররা। ‘এখানে এসে খেলার যে সুবিধা তা হলো আপনি আপনাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলতে পারেন। বিশেষ করে স্পিনারদের সামনে। নিজে কতটা লড়াকু পরীক্ষায় ফেলতে পারেন। আমরা সুইং বোলিংয়ে বেশি পরিচিত। ব্যাটসম্যানরাও খেলে অভ্যস্ত। এখানে তারা সুইং বোলিংয়ের সঙ্গে স্পিন খেলবে তা নিশ্চিতভাবেই কঠিন পরীক্ষা হবে।’
বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে কঠিন প্রতিপক্ষ বলছেন কিউই অধিনায়ক। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই স্বাগতিকদের সমীহ করছেন। বিরুদ্ধ কন্ডিশনকেই তারা বড় করে দেখছে না। শেষ দুদিন ধরে নিম্নচাপ থাকায় ঘন ঘন বৃষ্টি হচ্ছে। আজও মিরপুরে বৃষ্টি হওয়ায় ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারেনি দুই দল। দুপুরে একপশলা বৃষ্টিতে মাঠে পানিও জমে গিয়েছিল। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো থাকায় সেই পানি নামতে সময় নেয়নি। আগামীকাল ম্যাচের দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিজেদের নাগালের বাইরের জিনিসে তেমন আগ্রহ নেই কিউই অধিনায়কের।
‘কন্ডিশন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তবে বাংলাদেশের থেকে নয় অবশ্যই। বাংলাদেশ প্রবল শক্তিশালী। আমরা যথেষ্ট হোমওয়ার্ক করেই এসেছি। ওদের মূল দল নেই। তবে শক্তিশালী দল কিন্তু রয়েছে। আমরা যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি। আশা করছি যখন সময় আসবে আমরা সেরাটা দিতে পারব।’ দুই দলের প্রথম ওয়ানডে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় শুরু হবে।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩ | সময়: ৫:২৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ