সর্বশেষ সংবাদ :

বাঘা পৌর নির্বাচন : কৌশল পরিবর্তন করে ভোটের মাঠে আক্কাস!

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা: রাজশাহীর বাঘায় জমে উঠেছে পৌর নির্বাচন। বিশেষ করে আ’লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আক্কাস আলীকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে কৌশলে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন এই প্রার্থী ও তার কর্মীরা। এবারের নির্বাচনে তার নেই কোন অফিস কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচার-প্রচারণা। এলাকার সুধীজনরা বলছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়াতে তিনি কৌশল অবলম্বন করে মাঠে নেমেছেন।
সংশি¬ষ্ট সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ ডিসেম্বর বাঘা পৌরসভা নির্বাচন। রাজশাহীর দক্ষিণ পূর্ব কোণে পদ্মার কোল ঘেঁেষ অবস্থিত বাঘা উপজেলা। যা ঐতিহাসিক ভাবে নানা গুরুত্ব বহন করে। এখানে রয়েছে প্রাচীন আমলের শাহী মসজিদ। যা দেখতে দেশি বিদেশী পর্যটকরা আসেন। বর্তমানে এই পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে পুরো এলাকায় এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। আর এ আমেজে যোগ হয়েছে গত নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পেয়ে পরাজিত সাবেক পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আক্কাস আলীকে নিয়ে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত নির্বাচনে দলীয় কোন্দোল, পৌর করের নামে ভ্যান চালকদের কাছে অর্থ আদায়, প্রতিপক্ষ জামাত-বিএনপিরকে ফাঁসানোর জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, মদ্যপান করে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি হওয়ায়-নারীদের ভোট না পাওয়া, সীমানা বৃদ্ধির কারণে নিজ এলাকায় ভোট বেড়ে যাওয়ায় প্রার্থীর ফুর-ফুরে মনোভাব, ইত্যার্দি কারনে তাঁকে পরাজিত হতে হয়। কিন্তু এবার সেই ভুল সুধরে নিজেকে অস্তিত্বের লড়াই মনে করে প্রতিটা মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন আক্কাছ আলী। এতে অনেকের মনের মধ্যে ঢুকেও পড়ছেন।
আক্কাছ আলীর কয়েকজন কর্মী জানান, আর মাত্র ১৩ দিন পর বাঘা পৌরসভা নির্বাচন। অথচ এখন পর্যন্ত আমরা কোন অফিস চালু করিনি। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেই কোন প্রচার- প্রচারণা। এর কারণ হিসাবে তারা বলেন, আমরা যদি প্রকাশ্যে কর্মী নামায় কিংবা কোন ভোটারের সাথে প্রার্থীর ভোট চাওয়ার ছবি ফেসবুকে ছাড়ি তখন ঐ ভোটারকে দলীয় প্রার্থীর কর্মীদের কাছে চাপের মুখে পড়তে হবে। এ কারণে আমরা প্রকাশ্য না এসে গোপনেই প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সাথে আছে নারীদের সমান্বয়ে গঠিত অপর একটি টিম। আর এটিই আমাদের কৌশল।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে আক্কাস আলীর এক ঘনিষ্টজন জানান, আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, এখানে নৌকার প্রার্থী প্রতিটা ওয়ার্ড ভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। এ দিক থেকে আক্কাছ আলী গ্রাম ভিত্তিক চার থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি করে দিয়েছেন। যারা অতি গোপনে তাদের দলীয় প্রতীক জগ মার্কার লিপলেট বিতরণ সহ ভোট চাইছেন।
আক্কাছ আলীর কর্মী সোহাগ হোসেন জানান, গত বারের নির্বাচনে কিছু ভুল-ভ্রান্তির কারণে আমরা হেরে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু এবার সেই শিক্ষা থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েও জয়ের স্বপ্ন দেখছি। তিনি বলেন, আমাদের নেতার কিছু খারাপ দিক থাকলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ কিছু গুন এবং ভালো দিক রয়েছে। আমরা আশবাদি, যদি নির্বাচনে কোন কারচুপি না হয়, তাহলে বিপুর ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২২ | সময়: ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ