উৎকোচ না দেয়ায় পাসপোর্ট আবেদনকারিকে হয়রানি

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন মৌসুমি জাহান। সেই আবেদনের তদন্তে আসে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। তদন্তে এসে উৎকোচ দাবি করেন। তা দিতে অস্বীকার করলে ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা ই-পাসপোর্ট আবেদনকারীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা আছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদন পাঠান। এতে মৌসুমি জাহানের পাসপোর্ট আবেদনটি আটয়ে যায়। এ ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে রাজশাহী রেঞ্চের ডিআইজি’র কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
মৌসুমি জাহান চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রানিহাটির কমলাকান্তপুর গ্রামের গোলাম রাব্বানীর মেয়ে। তিনি বর্তমানে রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার হড়গ্রাম বাজার এলাকায় থাকেন।
লিখিত অভিযোগে মৌসুমী জাহান উল্লেখ করেন, রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। ওই আবেদনের পরে তদন্তে আসেন শিবগঞ্জ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। তদন্তে এসে শহিদুল ইসলাম উৎকোচ দাবি করেন। তিনি তা দিতে অস্বীকার করলে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় তার নামে মামলা আছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন পাঠান। পরে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে তিনি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি জানতে পারেন। ওই প্রতিবেদনের পরে তার পাসপোর্টটি আটকে যায়।
মৌসুমী জাহান আরো অভিযোগ করেন, রাজপাড়া থানায় তার নামে যে মামলাটি আছে তা অনেক আগেই নিস্পত্তি হয়ে গেছে। এরপরেও তদন্তকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম মামলা আছে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদন পাঠান। এটা তদন্তকারী কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃত করেছেন বলে দাবি করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি’র আছে আবেদন করেছেন।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২২ | সময়: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ