লিবিয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ২৩, যুদ্ধবিরতির ডাক জাতিসংঘের

সানশাইন ডেস্ক: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে ক্ষমতার দাবিদার দুটি পক্ষের মধ্যে দিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েছে জাতিসংঘ। শনিবারের ওই সংঘাতে অন্তত ২৩ জন নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছে বলে ত্রিপোলির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
নিহতদের মধ্যে তরুণ কমেডিয়ান মুস্তাফা বারাকও আছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ২০১১ সালে নেটোর প্রত্যক্ষ মদদে দীর্ঘদিনের শাসক কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাতের পর থেকে আফ্রিকার দেশটি ভয়াবহ অরাজকতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে তা সত্ত্বেও গত দুই বছর লিবিয়া তুলনামূলক শান্ত সময় পার করেছে।
শনিবার দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারে সশস্ত্র বাহিনী তাদের প্রতিপক্ষ পূর্বাঞ্চলীয় পার্লামেন্ট স্বীকৃত প্রধানমন্ত্রী ফাথি বাশাঘার অনুগত মিলিশিয়াদের একটি বহরের হামলা প্রতিহতের চেষ্টা চালায়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে হালকা অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে, রাজধানীর একাধিক এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। শহরটির বিভিন্ন অংশ থেকে কালো ধোঁয়াও উপরে উঠতে দেখা গেছে।
একাধিক হাসপাতালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জরুরি বিভাগ। যেসব এলাকায় সংঘর্ষ হয়েছে, তার আশপাশ থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের লিবিয়া মিশন যুদ্ধে ‘বেসামরিক অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নির্বিচারে মাঝারি ও ভারি গোলা পড়েছে’ উল্লেখ করে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে বিবদমান পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়।
তেলসমৃদ্ধ লিবিয়া একসময় আফ্রিকার অন্যতম সমৃদ্ধ দেশ ছিল; এর জীবনমান ছিল মহাদেশটির বেশিরভাগ দেশের তুলনায় অনেক উপরে। ছিল বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা। যে স্থিতিশীলতার ওপর ভর করে দেশটি এগিয়ে চলছিল ২০১১ সালের পর তা ভেঙে চুরমার হয়ে যায়, এরপর থেকে লিবিয়াকে তুমুল সংঘাত আর রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।


প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২২ | সময়: ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ