অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছে  না ট্রেনে কাটা ব্যক্তির 

গোমস্তাপুর প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আখতারুল ইসলাম ব্যক্তিগত কাজে রাজশাহী গিয়েছিলেন। রাজশাহী থেকে কমিউটার ট্রেনযোগে রহনপুর আসার পথে নাচোল রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়ালে আখতারুল ইসলাম পানি পান করতে ট্রেন থেকে নামেন। পানি পান করা অবস্থায় ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে আখতারুলের পা পিছলে যায়। ফলে চলন্ত ট্রেনে তার ডান পা কাটা পড়ে। ঘটনাটি ২০জুলাই ২০২২ এর।

 

 

তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় লোকজন নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছে দেন নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে আখতারুল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার। আখতারুলের কোন পুত্র সন্তান নেই। রয়েছে তিনটি কন্যা সন্তান। পেশায় দিনমজুর আখতারুলকে অনেক কষ্টে সংসার ও মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হয়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় আখতারুলের এহেন দূর্ঘটনায় শঙ্কায় রয়েছে পরিবার। একেতো তার চিকিৎসার ব্যয়ভার অপরদিকে সংসার ও লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

 

আখতারুলের অনার্স পড়ুয়া মেয়ে রাখি খাতুন জানান, তার বাবার চিকিৎসায় ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ হয়ে গেছে। ছোট বড় মিলিয়ে এরই মধ্যে তিনটি অপারেশন করতে হয়েছে। ঔষুধ ইনজেকশন ড্রেসিং ব্যবদ প্রতিদিনই ব্যয় হচ্ছে অনেক টাকা। আমাদের পরিবার বর্তমানে নিরুপায়। সমাজের দানশীল ও হৃদয়বান ব্যক্তিগণ আমার বাবার চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে আসলে আমরা উপকৃত হতাম।

 

কথা হয় বোয়ালিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সামিউল ইসলাম শ্যামল এর সাথে। তিনি বলেন, আখতারুলের ট্রেনে পা কাটার বিষয়টি আমি জানি। ইতিমধ্যে আমি তাকে ইউনিয়ন পরিষদ ও গ্রামের লোকজনের নিকট থেকে কিছু সহযোগিতা করেছি। তার সুচিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালী ব্যক্তিরা এগিয়ে আসবেন বলে আমি আশা করি।

সানশাইন / শাহ্জাদা মিলন

 

 


প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২২ | সময়: ৫:৪৪ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine