কৃষকের সবুজ সোনা খিরা

তাড়াশ প্রতিনিধি: তাড়াশ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল ভাল থাকায় খিরা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। চলতি বছরে তাড়াশ উপজেলার কোহিত, সাচানদিঘি, সান্দুরিয়া, সড়াবাড়ি, বারুহাস, দিঘুড়িয়া, দিয়ারপাড়া, তালম, নামো সিলেট, খাসপাড়া, বড় পওতা, তেঁতুলিয়া, ক্ষীরপোতা, খোসালপুর, বরগ্রাম, আয়াস, বিয়াস ও রানীদিঘী গ্রামের মাঠের পর মাঠ খিরার আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি বছরে ৪৭০ হেক্টর জমিতে খিরা চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গতবছরের চেয়ে ৩০ হেক্টর বেশি। তবে এই লক্ষমাত্রা অতিক্রম করবে।
তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক মোতালেব জানান, লাভ পাওয়ায় খিরা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। তার মতো অনেকেই এখানে খিরা চাষ করছেন। লাভ জনক হওয়ায় এলাকায় খিরা চাষের জন্য জমি লিজ পাওয়া যাচ্ছে না। আর যাদের নিজস্ব জমি আছে তারা বেশি লাভবান হচ্ছে।
রানীদিঘী গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, এবছর এক বিঘা জমিতে খিরার চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকার মতো, সবকিছু ঠিক থাকলে এবং বাজার ভালো থাকলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করতে পারবো।
ব্যাপক খিরা উৎপাদন হওয়ায় সুবাদে তাড়াশ উপজেলার দিঘুড়িয়া, রানীর হাট, কোহিত, বিনসাড়া, বারু হাঁসসহ কমবেশি ৮-১০টি গ্রামে প্রতি বছর গড়ে উঠে অস্থায়ী খিরা বিক্রির মৌসুমি হাট। সবচেয়ে বড় হাটটি বসে দিঘুড়িয়া গ্রামে।
এসব হাটগুলো থেকে খিরার মৌসুমে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক এখানে এসে ক্রয় করে নিয়ে যায়, ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, পাবনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুলাহ আল মামুন জানান, তাড়াশে খিরা চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে।
উপজেলার জমি খিরা চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন খিরা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদেরকে খিরা চাষে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরার্মশ দিয়ে সহযোগিতা করে থাকি।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ | সময়: ৬:৪৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ