সর্বশেষ সংবাদ :

বাঘার পূর্বালী ব্যাংকে বিক্রী হচ্ছে টিকিট শাহী দিঘিতে নামবে মৎস্য শিকারিদের ঢল

নুরুজ্জামান,বাঘা :বঙ্গ সংস্কৃতির হাজার ঐতিহ্যের মধ্যে অন্যতম হলো আওলিয়া দরবেশদের খানকা ভিক্তিক গড়ে উঠা নানান প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা সদরে গড়ে উঠা ঐতিহাসিক শাহী দিঘি , মাজার ও মসজি অন্যতম।এই দিঘিতে আগামি ১৮-১৯-২৫ ও ২৬ তারিখ নামবে সৌখিন মৎস্য শিকারিদের ঢল।

বাঘা মাজার কমিটি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুন ৩ মাস সময় নির্ধারণ করে ৫৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মূল্যে ইজারা দেয়া হয়েছে বাঘার প্রাণকেন্দ্র অবস্থিত ৫২ একর জমির উপর খননকৃত শাহী দিঘি। উদ্দেশ্য মাছ ধরে বিক্রী। এ জন্য স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যাংকে বি.ডি জমার মাধ্যমে সর্বচ্ছ দর প্রধান করায় তাকে এই দিঘিটি ইজারা দেয়া হয়েছে। শর্ত তিন মাসের মধ্যে মাছ মেরে নিতে হবে।

এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কবির হোসেন ও শাহিনুর রহমান পিন্টু এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা এ বছর তিনটি হুইল(সিপ) ব্যবহার করার শর্তে চার দিনের জন্য প্রতি টিকিটির মূল্য নির্ধারণ করেছি ৭৫ হাজার টাকা। যারা সৌখিন মৎস্য শিকারি হিসাবে এখানে মাছ ধরতে আসবেন তাদেরকে “পূর্বালী ব্যাংক বাঘা শাখার’’অনুকুলে টাকা জমা দিয়ে সেখান থেকে টিকিট ক্রয় করতে হবে। তারা আরো জানান, এ বছর দিঘির চতুর পাশ মিলে ১০০ টি টিকিট ছাড়া হবে। এরমধ্যে যারা প্রথম,দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করবে তাদের জন্য থাকবে ১২৫ সি.সি একটি এ্যাপাসি মোটর সাইকেল সহ আকর্ষনীয় আরো বেশ কয়েকটি পুরুস্কার।

স্থানীয়রা জানান, মঘল আলমে মুসলিম স্থাপত্তের নিদর্শন স্বরুপ বাঘা সদরে গড়ে উঠে ঐতিহ্যবাহী শাহী মসজিদ। এর পূর্ব প্রান্তে ৫২ একার জমির উপরে খনন করা হয় শাহী দিঘি। এই দিঘিকে কেন্দ্র করে এ অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে নানা অলৌকিক কাহিনী এবং কিংবদন্তী। এই দিঘির অমল-ধবল স্বচ্ছ পানির আকর্ষনে দুর-দুরান্ত থেকে হাজারো মানুষ এসে এখানে নিজেদের পাপ মোচন করার লক্ষে হযরত শাহদৌল্লার মাজারে হাজত মানত দিয়ে থাকেন। আবার অনেকেই পাপ মোচনে পুন্যের গোসল করেন।

এদিকে মাজারের মতোয়াল্লী খন্দকার মোনসুরুল ইসলাম বলেন, ১৯৯৪ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে এটি পূণঃখনন করানো হয়। এ সময় দিঘির চোতুর পাড় দিয়ে লাগানো হয় সারিবদ্ধ নারিকেল গাছ। পরবর্তী সময়ে বাঘা পৌর সভার মাধ্যমে মাজার ঘেষে এবং তার বিপরিদে বাঘা কেন্দ্রীয় গোরস্থান সংলগ্ন স্থান মিলে তৈরী করা হয় পৃথক দু’টি সান বাধায় ঘাট। ফলে এ ঘাট-সহ চার পার্শ্বের সোন্দর্য আরো বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে দিঘির চোতুর পার্শ্বের সারিবদ্ধ বৃ রাজি বেষ্ঠিত মনরোম পরিবেশ এবং দেশজ পাক-পাকালী ভ্রমন প্রিয় দর্শনার্থীদের নয়ন তৃপ্ত করে থাকে।


প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২২ | সময়: ৩:০৫ অপরাহ্ণ | সানশাইন