সর্বশেষ সংবাদ :

নিয়ামতপুর বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, আটক ২

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের পৃথক দুটি অভিযোগ উঠেছে। এ দুটো ঘটনায় অভিযুক্ত জাকারিয়া আলম (২৪) ও রসুল হোসেন (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগীদ্বয় নিজে বাদী হয়ে প্রেমিকদের আসামী করে নিয়ামতপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, মান্দা উপজেলার হাটোর গ্রামের ফুল মোহাম্মাদের ছেলে রসুল হোসেন (২০) এর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী প্রেমিকা বলেন, রসুল হোসেন আমার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বিগত দুই বছর যাবত বিভিন্ন রকমের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত আমার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়।

আমি রাজী হয়নি। আনুমানিক দেড় বছর পূর্বে অভিযুক্ত আমাকে কফি খাওয়ানোর কথা বলে একটি কফি দোকানের একটি গোপন কক্ষে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারও শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। আমি রাজী না হওয়ায় জোরপূর্বক আমাকে ধর্ষন করে। এরপর আমি বিয়ের কথা বললে সে এড়িয়ে যায়। সম্প্রতি ৩০ জুলাই বেলা ১১টায় অভিযুক্ত আবারও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে উপজেলা সদরের মাষ্টারপাড়ার আলকাছের মেসে নিয়ে গিয়ে বিয়ের কথা বলে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে রসুল হোসেনকে হাতে নাতে ধরে পুলিশে হস্তান্তর করে।

 

অপর দিকে উপজেলার শ্রীমন্তপুর মৃধাপাড়ার মোঃ আতাউর রহমানের ছেলে জাকারিয়া আলম (২৪) এর বিরুদ্ধে অভিযোগকারী আরেক প্রেমিকা বলেন, অভিযুক্ত জাকারিয়া আলমের সাথে আমার ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক। অভিযুক্ত আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেকবার ধর্ষনের চেষ্টা করে। গত ২ মে বেলা ৫টায় আমাকে ঘুরাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে অভিযুক্ত উপজেলা সদরে অবস্থিত তার নিজের দোকান ঘরে নিয়ে যায়। আমিও সরল মনে তার দোকানের ভেতরে যাই। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়। আমি রাজী না হওয়ায় সে দোকান ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

 

আমাকে হুমকি দেয় যেন আমি কাউকে না বলি। আমি মান সম্মানের ভয়ে কাউকে বলতে পারিনি। এরপর আমি তাকে বিয়ের কথা বললে সে এগিয়ে যায়। সম্প্রতি গত ২৯ জুলাই বেলা ৫টায় অভিযুক্ত আবারও আমাকে বিয়ে করবে বলে তার দোকানে ডেকে নিয়ে গিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়। আমি রাজী না হওয়ায় সে তার বাবা মার সাথে কথা বলে বিয়ে করার কথা জানায়। এই সুযোগে সে আবারও আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। তার আচরণে আমি আমার ভাইকে ফোন করলে সে এসে আমাকে উদ্ধার করে। বাধ্য হয়ে আমাকে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে হলো।

 

নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইন চার্জ হুমায়ন কবির বলেন, অভিযুক্তরা নিজেরা বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আসামী জাকারিয়া আলম ও রসুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা তদন্ত করে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২২ | সময়: ৯:২৬ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine