পৌর মেয়রের প্রচেষ্টায় মামলা মুক্ত হলো গ্রামবাসী

তানোর  প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর মুন্ডুমালা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচন্দর গ্রাম। এই গ্রামে সল্লাপাড়া ও কামাড়ে পাড়ার প্রায় দুইশ পরিবার মিলে রয়েছে একটি সমাজ। একই মসজিদে পড়তো নামাজও। সবাই মিলে মিশে এক সঙ্গে ছিল বসবাস।

এরই মধ্যে ২০২১ সালে জুন মাসে সামান্য একটুকু জায়গা-জমি নিয়ে দুই পরিবারে মধ্যে বাধে দ্বন্দ। দুই পরিবারের সে দ্বন্দ রুপ নেয় গ্রামের ২০০ পরিবারে মাঝে। দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে গ্রামের লোকজন। এক পক্ষ অন্য পক্ষে মারামারি-কাটাকাটি বাড়ি ভাংচুর করলে অন্য পক্ষ নিজের জায়গা দিয়ে চলাচলের রাস্তা বেড়া দিয়ে আটকে দেয়। একের পর এক শুরু হয় আদালতে মামলা। উভয় পক্ষ মামলা করে অন্তত ৬টি।

গ্রামটির বিরোধ মিটাতে দফায় দফায় আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার,পুলিশ প্রশাসন, কাউন্সিলর ও স্থানীয় আ.লীগের নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ। এতো কিছুর পরও এক বছরের বেশি সময় ধরে গ্রামটি বিরোধ মিটাতে পারেনি কেউ।
অবশেষে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমানের উদ্যোগে গ্রামটির এক বছরের বেশি সময় চলা বিরোধ মিটিয়ে মামলা মুক্ত করলো গ্রামটি।

শনিবার সকালে পৌর মেয়র সাইদুর রহমান নিজে সেই গ্রামে উপস্থিত হয়ে প্রায় দুইশ পরিবারকে একত্র করে তাদের প্রধান সমস্যা রাস্তার বেড়া খুলে উম্মক্ত করেন মেয়র নিজে। এর পরই উভয় পক্ষকে একমত হন যে গ্রামের সব মামলা বাদি নিজে নিজেই তুলে নিবেন এক মাসের মধ্যে। গ্রামের এ বিরোধ সমাধান করাই দুই পক্ষ খুশি পৌর মেয়রের উপরে। বিরোধ মিটানোই খুশি শুধু পাঁচন্দর গ্রামই নয়,পুরোই পৌর এলাকায় মেয়রের এমন উদ্যোগে প্রশংসিত হয়েছে।

গ্রামবাসি সূত্রে জানাগেছে,পাঁচন্দর সল্লাপাড়ার মাসুদ রানা ও মনিরুজ্জামান মনির মধ্যে থেকে বিরোধের সৃষ্টি হয় ২০২১ সালে জুন মাসে। দুইজনের পক্ষে গ্রামে ২০০ পরিবার ভাগ হয়ে যাই। শুরু হয় মারামারি-হট্টগোল। গরুচুরি,বাড়ি ভাংচুর,ছিন্তাই ও ডিজিটাই আইনে মামলা করে এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরেুদ্ধে। নষ্ট হয়ে পড়ে গ্রামের পরিবেশ। অবশেষে সেই বিরোধের অবসান হওয়াই খুশি পুরো গ্রাম।

মুন্ডুমালা পৌর মেয়র সাইদুর রহমান বলেন,গ্রামটির বিরোধ অনেক দুর গড়িয়ে ছিল। আল্লাহর ইচ্ছায় গ্রামবাসি সহযোগিতায় সে বিরোধ মিটাতে পেরেছি। আমি চাই না পৌর এলাকায় কোন পরিবার মামলা-মোকাদ্দামায় জড়িত হোক। কারণ একটি মামলায় শুধু একটি পরিবার নয়,পুরো গ্রাম ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়।

মেয়র আরো বলেন,সেই গ্রামে ৬ টি মামলা করেছিল উভয় পক্ষ। গ্রামের একটি মাত্র চলাচলের রাস্তা টি একটি পক্ষ বেড়া দিয়ে আটকিয়ে রেখেছিল দীর্ঘদিন। সবগুলোই সমাধান করে উভয় পক্ষ হাতে হাত ধরে একত্রে করে দেয়া হয়েছে। এখন থেকে উভয় পক্ষ মিলে মিশে গ্রামে বসবাস করবে বলে এক মত হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলা মুক্ত হয়েছে গ্রামটি।

 

সানশাইন/তৈয়ব

 


প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২২ | সময়: ৮:৫১ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine

আরও খবর