সর্বশেষ সংবাদ :

সহকারী শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থী কে প্রস্রাব খাওয়ানোর গুরুত্বর অভিযোগ

ধামইরহাট প্রতিনিধি

নওগাঁর ধামইরহাটে স্কুলের ছাদে শিক্ষার্থীর প্রসাব করার অপরাধে ওই শিক্ষার্থীকেই প্রস্রাব খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে শিক্ষিকা মোছাঃশাহানা বেগমের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৩১মে) দুপুরে উপজেলার চকচান্দিরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে পুরো এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ।

নির্যাতনের শিকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির জানান, প্রস্রাব খানায় অনেকে প্রস্রাবের জন্য অপেক্ষমান দেখে আমি স্কুলের ছাদে প্রস্রাব করি, আর এই কারণে ম্যাডাম আমাকে অনেক মারধর করে ও আমার হাতে একটা প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে বলে যে ‘এখানে প্রস্রাব কর,আমি ভয়ে ভয়ে প্রস্রাব করি,তারপর বলে এখন তুই এই প্রস্রাব খা,না খেলে আরো মারবো আমি ভয়ে প্রস্রাব খেয়ে বাসায় গিয়ে বাবা মা কে পুরো ঘটনা বলে দেই।’

 

সাব্বির এর মা সাবিনা আক্তার জানান, আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে অভিভাবকদের জানাবে,না জানিয়ে সহকারী শিক্ষক শাহানা ম্যাডাম অন্যায় ভাবে আমার ছেলেকে মেরেছে ও প্রস্রাব খাওয়াইছে, তাহলে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা কোথায়?’ তিনি তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযুক্ত শিক্ষিকার অপসারণ দাবি করেন। ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোছাঃশাহানা বেগম জানান, আমি রাগ করে বলেছি যে তুমি ছাদ থেকে কেনো প্রসাব করলে,এখন তুমি এই প্রসাব খাও বলেছি, কিন্তু নিজে হাতে খাওয়াইনি বলে অস্বীকার করেন।’

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃএরশাদ আলী (ডলার) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,তিনি ঘটনার সময় ছিলেন না অফিসে বিশেষ কাজে ব্যাস্ত ছিলেন,পরে সহকারী শিক্ষিকা তানজিলার মুখ থেকে বিস্তারিত শুনেছেন এবং ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুল আলম লাকীর সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসতিয়াক আহমেদ, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু ইউসুফ বদিউজ্জামান বকুল সহ ঘটনাস্থলে গেলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষিকা মোছাঃশাহানা বেগম সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট দোষ স্বীকার করেছেন বলে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ইসতিয়াক আহমেদ প্রতিবেদককে জানান।

এলাকাবাসী ও অভিভাবকেরা জানান,মঙ্গলবার দুপুরে তারা স্কুল ঘেরাও করেন। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষিকা স্কুলের ভিতর দরজা বন্ধ করে থাকেন। তারা অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

ধামইরহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আজমল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুরো ঘটনা শুনেছি খুবই দুঃখজনক বিষয়,আমরা তদন্ত করছি, তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ জাহেলিয়াতি যুগের কর্মকান্ড বরদাস্ত করা হবে না, অতিসত্ত্বর দোষী শিক্ষিকার সমুচিত শাস্তির দাবী জানান।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: জুন ১, ২০২২ | সময়: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine