ইউএনওর গাড়ির সাথে সংঘর্ষে ঝড়ল সাংবাদিকের প্রাণ

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়ার নিঙ্গইন এলাকায় নলডাঙ্গার ইউএনও সুখময় সরকারের গাড়ির সাথে মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক ও বন্দর স্কুলের শিক্ষক সোহেল আহমেদ জীবন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত সোহেল আহমেদ জীবন সিংড়া পৌরসভার বালোয়া-বাসোয়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।

 

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে মোটর সাইকেলে কর্মস্থলে  যাচ্ছিলেন উপজেলার বন্দর স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা নলডাঙ্গার ইউএনও সুখময় সরকারের সরকারী গাড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সোহেলের মোটর সাইকেলটি ইউএনও এর গাড়ির নিচে ঢুকে যায়। স্থানীয়রা সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে সিংড়া ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহেল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায়।

 

ইউএনও এর সরকারী গাড়িতে এ সময় তার স্ত্রী মানসি দত্ত মৌমিতা ও চালক ছিলেন। মৌমিতা সিংড়া সরকারী গোল-ই আফরোজ সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা। ওই সরকারী গাড়িতেই নিয়মিত কর্মস্থলে যান ইউএনও পত্নী এমনটা জানান স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে অনুমতি না নিয়ে সরকারী গাড়ি ব্যবহারের ঘটনায় নিহতের পরিবার ও সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ইউএনও সুখময় সরকারের দাবি দূর্ঘটনার সময় গাড়িতে তার স্ত্রী ছিলেন না এ সময় তিনি তার কর্মস্থলে ছিলেন। তার গাড়ি তেল নেয়ার জন্য নিঙ্গইন পাম্পে যাচ্ছিল। তবে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: মে ৯, ২০২২ | সময়: ৯:৫৯ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine