শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি’র ডাটা এন্ট্রির সময়সীমা বেড়েছে

ঢাকা অফিস: শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি’র জন্য ডাটা এন্ট্রির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স (সিআরভিএস) ব্যবস্থার আলোকে সময়সীমা বাড়ানো হয়। রবিবার (১৩ ফিব্রুয়ারি) শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর এস্টাবলিশমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম-আইইআইএমএস প্রকল্পের পরিচালকের সই করা অফিস আদেশে দেশের আট বিভাগের জন্য আলাদা করে নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি ত্রুটি ও মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন সমস্যার কারণে ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম ধীরগতি হওয়ায় ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে বিভাগভিত্তিক ডাটা এন্ট্রির সময়সীমা পুনঃনির্ধারণ করা হলো। অফিস আদেশে চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য সময়সীমা ধরা হয়েছে ১৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিভাগের জন্য ১ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের জন্য ১৭ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জন্য ১ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য ১৩ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাটা এন্ট্রির জন্য অনুরোধ জানিয়ে অফিস আদেশে আরও বলা হয়, এক বিভাগের প্রতিষ্ঠান অন্য বিভাগের জন্য নির্ধারিত সময় লগইন করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি (একক পরিচয়) দিতে মুবিজবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সময় শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে সরকার। প্রোফাইলে একজন শিক্ষার্থীর যাবতীয় তথ্য সন্নিবেশিত থাকবে।  প্রোফাইলের তথ্য থেকে তৈরি করা হবে ইউনিক আইডি। এই আইডি থেকেই পরে জাতীয়পরিচয় পত্র পাবে শিক্ষার্থীরা।  প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ (সিআরভিএস) ব্যবস্থার আলোকে দেশের তিন কোটির বেশি শিক্ষার্থীর জন্য ইউনিক আইডি (একক পরিচয়) করছে সরকার। পাঁচ বছর বয়সী প্রাক-প্রাথমিক থেকে ১৭ বছর বয়সের দ্বাদশ শ্রেণির সব ছাত্র-ছাত্রী পাবে এই ইউনিক আইডি। এই আইডিতে ১০ বা ১৬ ডিজিটের শিক্ষার্থী শনাক্ত নম্বর থাকবে, যা পরবর্তীতে হবে ওই শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর। জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে আলাদা করে তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজন হবে না। ২০২০ সালে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে বিগত সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই শিশু জরিপের উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২ | সময়: ১১:৫৯ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ