বাঘায় উপজেলা মাসিক সভায় মাদক ও সুদের ব্যাপকতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা

নুরুজ্জামান,বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন, চোরাচালান প্রতিরোধ ও নাশকতা প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে পৃথক চারটি মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা উঠে আসে। এর মধ্যে মাদকের ব্যবহার ও সুদের উপর টাকা দেয়ার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানীর বিষয়টি ব্যাপক গুরুত্ব বহন করে।

সকাল ১১ টায় আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান এড: লায়েব উদ্দিন লাভলু, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, শাহদৌলা সরকারী কলেজের অধ্যাপক ও আ’লীগ নেতা আবুবক্কর সিদ্দিক, উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া আজিজ সরকার,বাঘা পৌর মেয়রের প্রতিনিধি কাউন্সিলর আসলাম হোসেন,উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা বৃন্দ, জনপ্রতিনীধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ , শিক্ষক ও সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজের লোকজন।

সভায় চিনি মিশিয়ে ভেজাল গুড় তৈরী, মাদক সেবন, সুদের ব্যবসা, বাঘা মাজার এলাকা সহ-হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়, গণহারে যে কোন বিষয় নিয়ে মাইকিং, বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ, দ্রব্য মুল্যের বাজার মনিটরিং ,যানজট নিরসন, শিক্ষার্থীদের ভিডিও গেমে আসক্ত, ইমো-বিকাশ হ্যাকিং, প্রাইভেট ও কোচিং বানিজ্য এবং বালির ট্রাকে তাবু ব্যবহার না করায় পরিবেশ দুষন-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা উঠে আসে। এরমধ্যে কতিপয় প্রভাবশালী সুদের ব্যবসা করে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে অতিরিক্ত টাকা আদায় এবং সীমান্ত এলাকায় মাদকের প্রবনতা নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন উঠে আসে।

উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল বলেন,কিছুদিন পূর্বে তিনি একটি বাড়িতে হালখাতার অনুষ্ঠানে দাওয়াত খেতে গিয়ে ছিলেনে। এরপর খাওয়া শেষে হালখাতা কেমন হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি অবগত হন এখানে সুদ নেয়া-দেয়ার হালখাতা হচ্ছে।পরক্ষনে তিনি লজ্জা পেয়ে সেখান থেকে দ্রুত বেরিয়ে পড়েন । পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, অত্র উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সহ অভাবি মানুষকে সুদের উপর ফাঁকা চেক এবং ষ্ট্যাম্প-এ স্বাক্ষর নেয়ার মাধ্যমে টাকা দিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন।

অপর দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চল পাকাড়িয়া ইউপি চেয়ারমেন মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন, পুলিশ মাদক সহ না পেলে কোন ব্যবসায়ীকে আটক করতে নারাজ। এ দিক থেকে যারা তালিকা ভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী তারা বর্তমানে টাকার বিনিময়ে লেবার দিয়ে ব্যবসা করান। এর ফলে কখনো-কখনো ধরা খাই সাধারণ লেবার। আর ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাই চিহৃত মাদক ব্যবসায়ীগণ।

এদিকে পৃথক চারটি সভার সভাপতি ও বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পাপিয়া সুলতানা বলেন, আজকের সভায় অনেক গুরুত্বপূর্ন কিছু বিষয় উঠে এসছে। পর্যায় ক্রমে সব গুলোয় দেখভাল করা হবে। তিনি নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার ভুমি এবং বাঘা থানা পুলিশ-সহ সকলের সহোযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে নির্বাহী অফিসার উপজেলা আনসার-ভিডিপিদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসাবে চাদর বিতরণ করেন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ | সময়: ৪:৪৬ অপরাহ্ণ | সুমন শেখ