মঙ্গলবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্পোর্টস ডেস্ক: এমনিতেই টেস্ট খেলা হয় না বাংলাদেশের। সেখানে সুযোগ পাওয়ার পরও যদি টেস্ট কমিয়ে দেয়া হয় তখন বোঝার বাকি থাকে না বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট নিয়ে নীতিনির্ধারকদের মানসিকতা।
জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। বলা হচ্ছে, ব্যস্ত সূচির কারণে ক্রিকেটারদের ওপর চাপ কমাতে একটি টেস্ট কমিয়ে আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে দুই দেশের বোর্ড। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে আয়োজন করা হবে অপর টেস্টটি।
সাদা বলের ক্রিকেটে জোর দিতেই নাকি টেস্ট ম্যাচ কমিয়ে দেওয়ার ভাবনা। কারণটা, সামনে বিশ্বকাপ। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে বিশ্বকাপ খেলার আগে বাংলাদেশ পর্যাপ্ত সাদা বলের ক্রিকেটে ম্যাচ খেলবে। সেখানে বাড়তি একটি টেস্ট কতটা প্রভাব রাখতে পারে তা কেবল বলতে পারে আয়োজকরাই। তবে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না কারো থেকেই।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলছেন, ‘আমরা ওই সিরিজে একটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবো। শুরুতে দুটি টেস্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের আগে ঠাসা সূচি থাকায় একটি টেস্ট বাদ দিয়েছি। বাদ পড়া টেস্টটি পরে অন্য কোনও সময় খেলবো। কিন্তু আপাতত একটি টেস্টই হচ্ছে।’
চলতি বছর বাংলাদেশ কেবল একটি টেস্ট খেলেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে কিছুদিন আগে। জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের পর বছরের শেষ দিকে নিউ জিল্যান্ডকে দুই টেস্টের জন্য আতিথেয়তা দেবে। চার টেস্টেই শেষ বাংলাদেশের এ বছর। অথচ টেস্ট অভিষেকের পর গত বছরই প্রথম বাংলাদেশ ১০ টেস্ট খেলেছে। এছাড়া গড়ে ৫টি টেস্টই নিত্ত নৈমিত্তিক ঘটনা।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলতে বর্তমানে ইংল্যান্ডে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখান থেকে ফিরে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে। এরপর ৫০ ওভারের সংস্করণের এশিয়া কাপ ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপ। অন্যান্য দলগুলোর মতো বাংলাদেশেরও ঠাসা সূচি। তাই বলে টেস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হাতছাড়া করার ঘটনা একেবারেই নেই। দশ দলের র্যাংকিংয়ে নয়ে অবস্থানই বলে দিচ্ছে এ ফরম্যাটে নিজেদের মনোভাব। অথচ বারবার আলোচনায় এই ফরম্যাটে উন্নতির কথাও বলে বেড়ান নীতিনির্ধারকরা।