রবিবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে রোববার (১৩ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান সারদীয় দুর্গোউৎসব। এ পূজা বিসর্জন দেয়ার জন্য এবার বেঁছে নেয়া হয়েছিল নারায়নপুর, সরের হাট,পাকুড়িয়া ও আইপুর নদীর ঘাট । তবে বাঘা পৌর এলাকার নারায়নপুর পদ্মা নদীতে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান সরকারের কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব ও বাঘার কৃতি সন্তান রথীন্দ্রনাথ দত্ত।
এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ ও আনসার সদস্য-সহ সিভিল পোষাকধারি আইন শৃঙ্খলারাকারী বাহিনী। বিকেল সাড়ে ৪ টা থেকে বিসর্জন কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ করা হয় সন্ধ্যায়।
সরেজমিন উপজেলার বিসর্জনকৃত এলাকা নদীর ঘাট পরিদর্শন করে দেখা যায়, ভ্যান যোগে প্রতীমা নেওয়া হচ্ছে নদীর ঘাটে।এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাজার-হাজার ভক্তবৃন্দ। ভ্যান পৌছলেই স্বেচ্ছাসেবীরা সু-শৃঙ্খলভাবে দেবী দুর্গাকে নামিয়ে নিচ্ছেন। অত:পর সাত পাক ঘোরানোর পর দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে পদ্মায়। এ সময় ‘জয়, দুর্গা মায়ের জয়’ বলে নারীরা উলুধ্বনি দিচ্ছিলেন। পুরো নদীর ঘাট এলাকায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা যেনো পরিপুর্ণ ছিলো।
এদিকে বাঘা পৌর সভার নারায়নপুর ঘাটে পরিবার নিয়ে পূজা বিসর্জন কার্যক্রমে অংশ নেন কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব রথীন্দ্রনাথ দত্ত। সেখানে কথা হলে, তিনি বলেন, এবার দুর্গাপূজা ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং। দুর্গাপূজা শুরুর আগে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করে ছিলেন। কিন্তু এবার দুর্গাপূজা অনেক জাঁকজমক ও শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপিত হয়েছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল পুরো এলাকা। পুলিশ, বিজিবির পাশাপাশি পুলিশের বিশেষায়িত টিম,আনসার সদস্যরাও নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া নৌ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্বে ছিলেন। প্রস্তুত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। পূজা শুরুর আগেই রাজনৈতিক দলসহ সকলের সহযোগিতায় নির্ভয়ে পূজা উদযাপন শেষ করেছি। এবছর উপজেলায় ৪৮ টি পূজামন্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে। তবে কোথাও কোন সমস্য হয়নি।