সোমবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :
বাঘায় আ’লীগের মানব বন্ধনে হামলার ঘটনায় দলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলকে নির্মম ভাবে হত্যার চেষ্টা-সহ অন্যান্যদের বর্বরোচিত হামলার বিচার ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে এলাকায় পোস্টার লাগানো হয়েছে। পোস্টারে আহত আ’লীগ নেতৃবৃন্দ ও হামলাকারীদের ছবি রয়েছে। সেই ছবিতে পৌর মেয়র আক্কাছ আলী ও তার ভাগিনা-সহ পাঁচজনকে কুখ্যাত সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগ। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় তৈরি হয়েছে আতঙ্ক ।
সরেজমিন লক্ষ্য করা গেছে, বাঘা উপজেলা সদরসহ অত্র উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে “এই নৃশংসতার শেষ কোথায়’’ ? উল্লেখ করে পোষ্টার সেটে দেয়া হয়েছে। সেই পোষ্টারের উপর অংশে আহতদের ছবি এবং নিচের অংশে কুখ্যাত সন্ত্রাসী উল্লেখ করে ক্রস সিহৃ দিয়ে ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে মেয়র আক্কাছ আলী ও তার ভাগিনা মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, যুবলীগ নেতা আব্দুল মোকাদ্দেস , সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুরুজ জামান ও মাইনুল ইসলাম ওরুপে মুক্তার। সেখানে উপজেলা আ’লীগের বরাত দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, অবিলম্বে পোষ্টারে উল্লেখিত সন্ত্রাসীদের আটক করা হোক।
এ দিকে মানববন্ধনে একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদকের উপরে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা, ককটেল নিক্ষেপ ও মোটর সাইকেল ভাংচুরের পর থেকে অত্র এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ-সহ সাধারণ মানুষের মাঝে তৈরী হয়েছে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা ও আতঙ্ক । ঘটনার পর থেকে আত্নগোপনে রয়েছে এ মামলার প্রধান আসামী আক্কাস আলী সহ তার প্রধান-প্রধান সেনাপতিরা। যাদের ছবি পোষ্টারে শোভা পাচ্ছে।
বাঘার সুশীল সমাজের লোকজন বলেন, বাঘা পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্তনেই। ১৯৯৬ সালে আ’লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি প্রধান মন্ত্রীকে কাল পতাকা দেখানো থেকে শুরু করে বহুল আলোচিত বিবস্ত্র মামলার আসামী ছিলেন। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজশাহী জেলা পুলিশ আক্কাস আলীকে গডফাদার আখ্যায়িত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে ছিলেন।
সর্বশেষ গত ২২জুন শনিবার সকালে পৌর মেয়র আক্কাস আলীর অনিয়ম, দুর্নীতি, সেচ্ছাচারিতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে বাঘা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন এর ডাকদেন বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগ। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়র আক্কাছ আলী পৌর কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ ব্যারিকেট ভেঙ্গে উপজেলা আ’লীগের মানববন্ধনে যে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে তার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এটি ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন অনেকে।
সানশাইন/সোহরাব