ঈশ্বরদীতে গৃহবধূ হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: পাবনার ঈশ্বরদীতে সুমাইয়া মন্ডল (১৮) নামে এক গৃহবধূকে যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের রেলগেট ট্রাফিক মোড়ে এ মানববন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত সুমাইয়া মন্ডল ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিমটেংরি কাচারিপাড়ার দরিদ্র রিকশা চালক আরমান মন্ডলের মেয়ে। গত সোমবার শহরের পূর্বটেংরি কদমতলা এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। তাঁর গলা ও হাতের আঙুলে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পরিবারের দাবি, যৌতুকের কারণে স্বামী নির্যাতন করে সুমাইয়াকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার রাতেই থানায় তারা এ বিষয়ে অভিযোগও দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এ অবস্থায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও পথসভায় বক্তব্য দেন সুমাইয়ার বাবা আরমান মন্ডল, চাচা কোরবান মন্ডল, প্রতিবেশী স্বজন জোৎনা বেগম ও সফিকুল ইসলাম এমেল।
এসময় আরমান মন্ডল জানান, ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর পূর্বটেংরি কদমতলা এলাকার মৃত দৌলত খানের ছেলে তালাত মাহমুদের সঙ্গে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। তিনি অভিযোগ করেন, যৌতুকের কারণে তার মেয়েকে তালাত মাহমুদ ও পরিবারের সদস্যরা শারীরিকভাবে নির্যাতন করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এই ‘হত্যাকান্ডের’ ঘটনায় তিনি তালাত মাহমুদসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী জানান, গৃহবধূ সুমাইয়া মারা যাওয়া সম্পর্কে তার বাবা সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দেয়নি। তিনি শুধু ‘সংবাদদাতা’ হিসেবে ঘটনাটি থানায় জানিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৪ | সময়: ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর