সার্কাসের হয়ে বাঘায় হিরো আলম

নুরুজ্জামান, বাঘা: এই প্রথম রাজশাহীর বাঘায় এসেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে আলোচিত, সমালোচিত অভিনেতা হিরো আলম। বাঘার ঈদ মেলায় অনুষ্ঠিত ‘দি নিউ গোল্ড সার্কাস’ এ অভিনয় করার জন্য তিনি এবং তাঁর স্ত্রী রিয়ামনি এখানে এসছেন। তাদের দেখতে বৃহস্পতিবার রাতে হাজার-হাজার মানুষের ঢল নেমেছে বাঘার ঈদ মেলায়।
ঈদ মানে আনন্দ। তার সাথে বাড়তি উৎসব ঈদ মেলা। তবে এ মেলা দেশের সবস্থানে হয় না। রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী ও পুরাকৃর্তী সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে প্রসিদ্ধ বাঘা উপজেলার ঈদ মেলার ঐতিহ্য প্রায় ৫ শত বছরের।
এ মেলায় দুর দুরান্ত থেকে ঘুরতে আসেন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। মেলাকে ঘিরে আয়োজন করা হয়, সার্কাস, নাগরদোলা, রাডার, মৃত্যুকূপ মোটর সাইকেল ও প্রাইভেটকার খেলা। যার কমতি নেই এবারও। তবে এবারের মেলায় বাড়তি আকর্ষণ যোগ হয়েছে হিরো আলম ও তার স্ত্রী রিয়ামনি।
বাঘার স্থানীয় লোকজন জানান, এই মেলার লোক সমাগম যখন কমতে থাকে তখন বাংলা সাংস্কৃতির অন্যতম নিদর্শন সার্কাস প্যান্ডেলের দর্শকদের আকৃষ্ট করতে রাস্তায় ব্যানপার্টি-সহ নামিয়ে দেয়া হয় জোকাদের। নামিয়ে দেয়া হয় বন্য প্রাণী হাতি।
একই সাথে সিনেমা জগত (চলচিত্র) থেকে আনা হয় বড়-বড় শিল্পী, নায়ক-নায়িকা ও অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর বাঘার সার্কাস প্যান্ডেলে প্রথমদিন আনা হয়েছে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে। আর তাদের দেখতে ছুটে আসছেন হাজার-হাজার দর্শক।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার রাতে ‘দি নিউ গোল্ড সার্কাস’ প্যান্ডেলে গিয়ে দেখা যায় হিরো আলম অভিনয় করছেন। সেখানে তিনি দর্শকদের উদ্দেশ্যে বললেন, আমি গরিবের বন্ধু হিরো আলম, বড়লোকদের লাগায় মলম। আমি আলম থেকে হিরো আলম হয়েছি। এ জন্য আমাকে লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে। আমি আপনাদের রাজশাহী বিভাগের বগুড়ার সন্তান। তবে এ অঞ্চলে আমার প্রথম আগমন।
এদিকে সার্কাস থেকে বেরিয়ে আসা লোকজন জানান, হিরো আলম এবং তার স্ত্রী রিয়ামনি অনেক ভাল অভিনয় সহ গানের সাথে নাচ করেছেন। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যাকে নিয়ে আলোচনা করা যায়, কিন্তু তাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। কারণ আলোচনা-সমালোচনার তোয়াক্কা না করে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন হিরো আলম। জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। আগামী নির্বাচনেও লড়বেন বলে জানিয়েছেন।
বগুড়ার এই যুবক একাধারে প্রযোজক, অভিনেতা, গায়ক ও সমাজ হিতৈষী। ডিসলাইন (ক্যাবল নেটোয়ার্ক ব্যবসায়ী) এবং আলোচিত ফেসবুক ও ইউটিউবার হিসাবে এখন সারাদেশের মানুষের কাছে পরিচিত বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।
বাঘা মাজার পরিচালনা কমিটির মত্তোয়াল্লী খন্দকার মুনসুরুল ইসলাম জানান, ঈদ মেলার জৌলুস প্রতি বছরই বাড়ছে। বাড়ছে লোক সমাগম। মূলত বছরের এই সময়টির জন্য এলাকার মানুষ অপেক্ষা করে থাকেন সারা বছর। মেলা দেখতে আসেন পর্যটকরাও। এতে লাখো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়।


প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪ | সময়: ৫:০১ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ