সীমান্ত-পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ চায় কুকি-চিন

সানশাইন ডেস্ক: পার্বত্য জেলা বান্দরবানে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে এক দিনের ব্যবধানে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি ও ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। এর মধ্যেই বান্দরবানের আলীকদমে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ চেকপোস্টেও হামলা চালিয়েছে সংগঠনটি। এরপরই সশস্ত্র এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে সেনা-বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী নাথান লনচেও বমের হাতে গড়ে উঠেছে কুকি-চিন। ২০০৮ সালে অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কুকি-চিন জাতীয় ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও)। পরে কয়েকবার নাম বদলে হয় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। যার সশস্ত্র উইংয়ের নাম কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)।
বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে ২০২২ সালে কুকি-চিনের তৎপরতা দৃশ্যমান হয়। গত দুই বছর ধরে বান্দরবানের ৪টি উপজেলায় নাথান বমের নেতৃত্বাধীন কুকি-চিন তাদের অস্তিত্ব জানান দিয়ে আসছে। নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে ট্রেনিং দিয়ে ২০২২ সালে আলোচনায় আসে কেএনএফ। তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে তারা সরে গেলেও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার (এমএন লারমা) গঠিত জনসংহতি সমিতি ভেঙে কয়েকটি গ্রুপের সৃষ্টি হয়েছিল। কেএনএফ সেগুলোর মধ্য থেকে আসা একটি গ্রুপ। ইতোমধ্যে সশস্ত্র সংগঠন হিসেবে নিজেদের অবস্থান জানান দিয়েছে তারা। কেএনএফ দাবি করেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে তারা। কুকি-চিন রাজ্য নামে স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল চেয়ে কেএনএফ বলেছে, ওই রাজ্যে বম, খিয়াং, পাংখোয়া, লুসাই, খুমি ও ম্রোরা থাকবে। সেখানে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরারা থাকবে না।
পাহাড়ের বম, পাংখোয়া, খুমি, ম্রো এবং খিয়াং নামক ক্ষুদ্র ছয়টি নৃগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠন হয়েছে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ। ঢাকা টাইমসের হাতে আসা তথ্য বলছে, কেএনএফ পার্বত্য তিন জেলার প্রায় অর্ধেক আয়তনের অঞ্চল তথা লামা, রুমা, আলীকদম, থানচি, রোয়াংছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি, বরকলসহ আশপাশের এলাকা নিয়ে একটি মনগড়া মানচিত্র তৈরি করেছে। যে মানচিত্রের তিন দিকে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্ত রয়েছে।
অবশ্য সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে দাবি করেছিল, তারা কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন নয়। তবে সর্বশেষ ব্যাংক ডাকাতি এবং অস্ত্র লুটের ঘটনার মধ্যদিয়ে তাদের অপকর্মের তৎপরতা জানান দেওয়া হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, অর্থের জোগান ঠিক রাখতে সম্প্রতি ব্যাংক লুটে জড়ায় কেএনএফ। মূলত পাহাড়ে নিজেদের শক্তিমত্তা জানান দিতে চায় সংগঠনটি। আর সংগঠন চালাতে প্রয়োজন অর্থ।
পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের সঙ্গে যৌথ চুক্তির অধীনেই কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেয় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শ্বারকীয়া। ভারী অস্ত্রশস্ত্র সংক্রান্ত উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তাদের পাঠানো হতো মিয়ানমারের আচিন প্রদেশের দুর্গম বন পাহাড়ে। সেসব স্থানে প্রশিক্ষিত যুব জঙ্গিদের বক্তব্যের সূত্র ধরেই র‌্যাবের গোয়েন্দারা ব্যাপক অনুসন্ধান চালায় এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পার্বত্য অঞ্চলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
গোয়েন্দা তথ্য বলছে, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার শীর্ষ নেতাদের ধরতে পাহাড়ে অভিযান শুরু হয়। কথিত হিজরতের নামে ঘরছাড়া তরুণরা শারক্বীয়ার হয়ে পাহাড়ি এলাকার আস্তানায় আশ্রয় নেয় বলে তথ্য রয়েছে তাদের কাছে। এসব আস্তানায় কথিত হিজরত করা তরুণদের ভারী অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নতুন এ জঙ্গি সংগঠনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ (কেএনএফ) নামের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কুকি-চিনের প্রধান নাথান বমের জামাতুল শারক্বীয়ার প্রধান আনিসুর রহমানের সঙ্গে চুক্তি হয় বলে তথ্য রয়েছে।
স্থানীয়দের তথ্য বলছে, বাস্তবে কুকি-চিন মোটেও শক্তিশালী কোনো বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ হয়ে ওঠেনি। সীমিত অস্ত্র আর চরম অর্থ সংকটের মধ্যেই চলছিল তাদের দুর্বল কার্যক্রম। শান্তিবাহিনী খ্যাত জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সদস্যরা পাহাড়ি এলাকায় যখন কুকি-চিন সদস্যদের নির্মূলে অভিযান শুরু করেছিল তখন তারা (কুকি-চিন) বাধ্য হয়ে রুমা ও রোয়াংছড়ি এলাকায় ছোট ছোট আস্তানা গড়ে তুলে নিজেদের জীবন বাঁচায়। সেই সময় আন্ধারমানিক সীমান্ত এলাকায় জনসংহতির একটি ক্যাম্পে সেনাবাহিনীর অভিযানে সংগঠনটির ৪ সদস্য নিহত হয়।
এদিকে যৌথ অভিযান শুরু করতে না করতেই বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ কেএনএফ (কুকি-চিন) এর পিছু হটে যাওয়ার ঘটনা রহস্যের সৃষ্টি করেছে। রুমা ও থানচির স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কয়েক হাজার প্রশিক্ষিত অস্ত্রবাজ ক্যাডার যথারীতি সেনা পোশাকে লেফট রাইট, লেফট রাইট করে মাইলের পর মাইল ঘুরে বেড়াতো, দেদার গুলি চালিয়ে হাতের নিশানা ঠিক করতো, আমাদের ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে আমাদেরই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাট এলাকা নিয়ে তারা আলাদা দেশ বানানোর স্বপ্নে বিভোর ছিল, তাদের এতো সহজে পিছু হটাকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকেই।
কমব্যাট পোশাক পরিধান করে রীতিমতো আর্মি স্টাইলের প্রশিক্ষণ গ্রহণ, প্রকাশ্যে অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন, দীর্ঘ সময় ধরে স্পর্শকাতর পার্বত্য এলাকায় অবস্থান এবং সর্বশেষ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ এড়িয়ে পালানোর মধ্যে আরেকটি ভয়ংকর বার্তাও দিয়ে গেল অস্ত্রবাজরা। প্রায় ত্রিশ হাজার সদস্যের শান্তিবাহিনী শত শত হামলা, হত্যা, নারকীয় ঘটনা ঘটালেও বিশ বছর পর তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার চিন্তাভাবনা করেছিল বাংলাদেশ সরকার।
প্রশ্ন উঠেছে, মাত্র ৩-৪ হাজার সদস্যের কুকি-চিন বড়জোর ৫-৬টি ক্ষুদে হামলা চালাতে না চালাতেই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি কাজ শুরু করল কেন? তাদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকের জন্য তড়িঘড়ি প্রচেষ্টা কুকি-চিনকে অনেক বড় শক্তি হিসেবে দেখানোর অপচেষ্টা হচ্ছে কি না?
থানচি উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াই হ্লা মং মার্মা ঢাকা টাইমসকে বলেন, “পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে। এই দুই দিনে আর কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি। তবে এলাকাগুলোতে বেশ আতংক বিরাজ করছে। বাজারগুলোতে যে দোকানপাট আছে সেখানে অনেক দোকানি কুকি-চিনের ভয়ে তাদের মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে। বিষয়টি আমি স্থানীয় পুলিশ বিজিবিকে অবগত করেছি। আমাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বলেছি।” স্থানীয় পর্যায়ে কুকি-চিনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো মূলত চাঁদাবাজি ও অপহরণ করে অর্থ আদায় করে থাকে। টাকার জন্যই তারা এমন অরাজকতা করে থাকে।”
কুকি-চিন এর আগে কাউকে গুম কিংবা অপহরণ করেছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ব্যাংক ডাকাতির আগে তারা তেমন সক্রিয় ছিল না। তবে চাঁদাবাজি করতো।” কুকি-চিন পাহাড়ের একক নিয়ন্ত্রণ চায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে থোয়াই হ্লা মং বলেন, “তারা কীভাবে একক নিয়ন্ত্রণ করবে? তাদের তো তেমন সক্ষমতা নেই। পাহাড়ের জঙ্গলের মধ্যে থাকে তারা। মাঝে মাঝে বের হয়ে লুট, চাঁদাবাজি করে পাহাড়ে পালিয়ে যায়। গভীর জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় হওয়ায় তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না।”
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, “বান্দরবানের এলাকাগুলোতে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলেই আছে। কোথাও কোনো হামলার শঙ্কা নেই। তবে কেএনএফ নিশ্চিহ্নে কিছু জায়গায় যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কুকি-চিনের হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব মোতায়েন আছে।”
ঢাকা টাইমসের কাছে আসা শুক্রবারের তথ্য বলছে, কেএনএফ প্রধান নাথান বম বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা ভারতের মিজোরাম রাজ্যের ৫৬ নম্বর বিএসএফ বিওপি সংলগ্ন গাছপালা ঘেরা শূন্য ভিটেয় ডেরা বানিয়ে বসবাস করছেন। এপারে বাংলাদেশ সীমান্তেই তাদের ৭-৮টি ঘাঁটি রয়েছে। রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি থানা এলাকায় কেএনএফের ছোট- বড় মিলিয়ে প্রায় ২০-২২টি ক্যাম্প বা আস্তানা রয়েছে। এ তিন থানা এলাকাই হচ্ছে মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তঘেঁষা।
র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, “কেএনএফ বান্দরবান পাহাড়ে ঘাঁটি গেড়ে রেখেছিল। তাদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে। এখনো কাউকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি।” কুকি-চিন বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে একক নিয়ন্ত্রণ চায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “যেহেতু এখনো কুকি-চিনের কোনো সদস্যকেই গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাই তারা কী চায়, তাদের পরিকল্পনা কী সেই বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।”
খন্দকার মঈন বলেন, “পাহাড়ে অনেক সংগঠন রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে কুকি-চিন তাদের ক্ষমতা ও সক্ষমতার জানান দিতেই হামলাগুলো চালিয়েছে বলে র‌্যাবের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। তাদের সঙ্গে প্রায়ই পাহাড়ে থাকা অন্যান্য সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের সংঘর্ষ বেধে থাকে।” তিনি আরও বলেন, “কুকি-চিনের প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য রয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাদের চেয়েও আরও শক্তিশালী বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনও পাহাড়ি এলাকায় রয়েছে। মূলত কুকি-চিন সদস্যরা টাকার জন্য বেপরোয়া হয়ে ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ, অস্ত্র লুট, পুলিশ ক্যাম্পে গুলিবর্ষণসহ বিভিন্ন অপরাধ কার্যক্রম চালিয়েছে।”
বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল করিম বলেন, “জেলার বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সন্দেহভাজনদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই আছে।” কুকি-চিনের কাউকে আটক করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তারে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে।”
বান্দরবান এখন কুকি-চিনমুক্ত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এই বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা জেলার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছি। আসা করা হচ্ছে কোনো হামলার ঘটনা ঘটবে না।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার ব্যাংক ডাকাতি এবং থানায় হামলার ঘটনায় পুরো পার্বত্য অঞ্চলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এক ধরনের আতঙ্ক মানুষের চোখেমুখে। রুমা উপজেলার বেশির ভাগ বাসিন্দার মধ্যে এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপ্রয়োজনে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আর কেউ বের হলেও সন্ধ্যার আগে ফিরছেন। ঘরেও লোকজন নিজেদের নিরাপদ মনে করছেন না। তবে লোকজনকে আতঙ্কিত না হতে বলেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) নূরে আলম মিনা। তিনি বলেন, “বান্দরবানের কয়েকটি থানায় পুলিশ সদস্যের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”


প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৪ | সময়: ৬:১৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর