রাজশাহীতে নানা আয়োজনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের প্রথম প্রহরেই মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে রাজশাহীর শহীদ মিনারগুলোতে ফুল হাতে মানুষের ঢল নামে। সকাল থেকেও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারগুলোতে যান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। সবাই পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়।
সূর্যোদয়ের পর রাজশাহী পুলিশ লাইনসে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দিনের শুরুতেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠন ও সরকারি-বেরসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারের পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
রাজশাহী মহানগরীর কুমাপাড়ায় থাকা স্বাধীনতা চত্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালসহ অন্যরা। এর আগে সকাল ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের নেতৃত্বে পুষ্পঘ্য অর্পণ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সকাল ৮টায় জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। এ সময় পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমানসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১০টায় রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখানে রাজশাহীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রাজশাহী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়সহ অন্যান্য সরকারী বেসরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান নানা কর্মসূচি পালন করে।
মহানগর আ’লীগ : ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে দিবসটি উদযাপন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগর। কর্মসূচী সমূহের মধ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় কুমারপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার সদস্য ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সদস্য ডা: আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগর, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, রাজশাহী মহানগর, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ, রাজশাহী মহানগর, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী মহানগর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, ডা: তবিবুর রহমান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আসলাম সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার সদস্য ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সদস্য ডা: আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, শ্রম সম্পাদক আব্দুস সোহেল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: ফ ম আ জাহিদ, সদস্য নজরুল ইসলাম তোতা, সৈয়দ হাফিজুর রহমান বাবু, বাদশা শেখ, ইউনুস আলী, মোখলেশুর রহমান কচি, থানা আওয়ামী লীগের মধ্যে বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, নগর শ্রমিক লীগ সভাপতি মাহাবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতউল্লাহ সেলিম, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ, নগর তাঁতী লীগ সভাপতি আনিসুর রহমান আনার প্রমুখ।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সিএন্ডবি মোড়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের পক্ষে রাসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একইসাথে কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এদিকে দিবসের শুরুতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে নগরভবনসহ ওয়ার্ড কার্যালয় ও কর্পোরেশনের অন্যান্য স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বাদ যোহর সোনাদিঘী মসজিদ ও নগরভবন মসজিদসহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জা,প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসানালয়ে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও জাতির শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
রাজশাহী জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন : সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বে-সরকারি ভবনসমূহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জেলা পুলিশ লাইন্স মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনি ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে ৫৪তম মহান স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরের শহিদ স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর, সংস্থা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলাদাভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদদের শ্রদ্ধা জানান।
সকাল আটটায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে তিনি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, ৭৫’র ১৫ আগস্ট ও মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বক্তৃতা করেন। ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, আজকের দিনটি বাঙালি জাতির জন্য গৌরবোজ্জ্বল দিন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জাতির ওপর নির্মম অত্যাচার চালিয়ে এ দেশের মানুষের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে চেয়েছিল। কিন্তু নয় মাসের মরনপণ লড়াইয়ের মাধ্যমে বাংলার দামাল ছেলেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে এ দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে।
দেশ এখন সবদিক থেকেই এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদেরকে দেশের আইন-কানুন সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে, পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ করতে হবে, সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনিসুর রহমান, আরএমপি’র কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, পুলিশ সুপার মো: সাইফুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সকাল দশটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার দেশে সোনার মানুষ গঠন করাই মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে ওই অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হবার পর বঙ্গবন্ধু দেশ পুনর্গঠনের কাজে হাত দেন, কিন্তু একদল বিপথগামী তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ফলে তাঁর সোনার বাংলা নির্মাণের কাজ থমকে যায়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই অসম্পূর্ণ কাজ করে চলেছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশের কাতারে উন্নীত হচ্ছে।
তিনি সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর বাজেটের আকার বেড়েছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, আমাদের আবাসন সুবিধা বেড়েছে। আমাদের প্রথম বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা; যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকায়। বর্তমানে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে। আগে আমাদেরকে খাদ্য আমদানি করতে হতো, এখন আমরা রপ্তানি করতে পারি।
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, এমন অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে খোদ পাকিস্তানও আমাদের উন্নতির মূলমন্ত্র খোঁজ করছে। স্বাধীনতার পর অনেক বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, ইতিহাসবিদ বাংলাদেশের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, এখন তারাও আমাদের উন্নয়নের প্রশংসা করছেন। দেশকে আরও এগিয়ে নিতে তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। সভায় আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর (অব.) ড. মু. শামসুল আলম, বীর প্রতীক।
জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, পুলিশ সুপার মো: সাইফুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ আব্দুল হাদী।
রাবি: যথাযোগ্য মর্যাদা ও দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) এবং রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে (রুয়েট) পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উদ্যাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিশ^বিদ্যালয় দুটিতে পতাকা উত্তোলন, শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
রাবিতে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ও সকাল ৯টায় বধ্যভূমি স্মৃতিফলকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সকাল ১০টায় বিশ^বিদ্যালয়ের শেখ রাসেল মডেল স্কুলে এবং সকাল সাড়ে ১০টায় রাবি স্কুলে স্বাধীনতা দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টায় সাবাশ বাংলাদেশ চত্বরে বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জারের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। পরে বেলা সাড়ে ১২টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় রাবির শহীদ পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়। এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক।
রুয়েট : ১০টায় রুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে প্রশাসন। এরপর বেলা সোয়া ১১টায় রুয়েট হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল আওয়ালের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আরিফ আহম্মদ চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদ হাসান খান তুষার, কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু সাইদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলম, কর্মকর্তা সমিতির সহ-সভাপতি মো. রোকনুজ্জামান, কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান মুন্না প্রমুখ।
রামেবি : রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (রামেবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫৪তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রামেবির অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদের সভাপতিত্বে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন রামেবির রেজিস্ট্রার (অ.দা.) ডা. মো. জাকির হোসেন খোন্দকার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ডা. আনোয়ার হাবিব, উপ-কলেজ পরিদর্শক ডা. জোহা. মোহম্মদ মেহেরওয়ার হোসেন, জনসংযোগ ও ডিন দপ্তরের সেকশন অফিসার জামাল উদ্দীন প্রমুখ।
রাজশাহী কলেজ : রাজশাহী কলেজ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি গুলো শুরু হয় এবং বিশেষ দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্ত হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯ টায় অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেকের নেতৃত্বে ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। সকাল ১০ ঘটিকায় প্রশাসন ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয় ছাত্র ছাত্রীদের সমাবেশ ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন। এরপর শেখ রাসেল দেয়ালিকায় ‘মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস- উপলক্ষ্যে বিশেষ দেয়ালিকা ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ উদ্বোধন করা হয়।
কালচারাল একাডেমি: রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির উদ্যোগে দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার একাডেমির অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সদস্য আকবারুল হাসান মিল্লাত। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা বেনজামিন টুডু’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সদস্য সুসেন কুমার শ্যামদুয়ার, সুবোধ চন্দ্র মাহাতো, মিসেস. শেলী প্রিসিল্লা বিশ্বাস। অনুষ্ঠানটি পরিচালনায় ছিলেন, কালচারাল একাডেমির উপস্থাপিকা মৌসুমী হাঁসদা।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় : মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সূর্যোদয়ের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর সকাল ১০টায় উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহার নেতৃত্বে শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরের পূর্ব দিক থেকে শুরু হয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়। পরে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর পরপরই শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিএমডিএ : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (২৬মার্চ) বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে সকালে প্রধান কর্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব প্রকৌশলী মো: আব্দুর রশীদ।
রাকাব : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক-এর উদ্যোগে দেশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, রাজশাহী’র শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে রাকাবের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ। এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আঃ রহিম; রাজশাহী বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিকে রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
বড়াইগ্রাম: নাটোরের বড়াইগ্রামে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে আয়োজিত সভায় ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু, ওসি শফিউল আজম খান ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বোরহান উদ্দিন মিঠু, ওসি শফিউল আযম খান, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের, মসলেম উদ্দিন, শাহাদৎ হোসেন ও মমিনুল হক বক্তব্য রাখেন।
রাণীনগর: রাণীনগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের অনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন এমপি এ্যাড: ওমর ফারুক সুমন। সেখানে কুচকাওয়াজ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের এমপি এ্যাড. ওমর ফারুক সুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ দুলু। এছাড়া রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু ওবায়েদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জারজিস হাসান মিঠু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা বেগম ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা এবং উপজেলার সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অঞ্জন কুমার দাস,আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুল ইসলাম,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রী নিপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল,জেলা পরিষদের সদস্য চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল,প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাযহারুল ইমলাম,সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা,যুব উন্নয়ন অফিসার এস এম নাসির উদ্দিন,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন,সিনিয়র মৎস্য পলাশ চন্দ্র দেবনাথ,উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকসান হ্যাপি,গণমাধ্যমকর্মীরাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক আবৃতি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
এনবিআইইউ: দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে ইউনিভার্সিটির প্রশাসনিক ভবনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের মাননীয় চেয়ারম্যান বিশিষ্ট কবি, কথাসাহিত্যিক, নারী উদ্যোক্তা অধ্যাপক রাশেদা খালেক। অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য এবং বর্তমান উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, উপাচার্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস, ট্রেজারার প্রফেসর মো. আনসার উদ্দিন, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মকসুদুর রহমান, কলা ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর মো. আব্দুর রউফ, আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. পিএম সফিকুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার রিয়াজ মোহাম্মদসহ সকল বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাগমারা: শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ এর পরপরই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমন চৌধুরী, বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বাগমারা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু, রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মাহাবুর রহমান, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়।
নওগাঁ: শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা। পরে একে একে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ফুলে ফুলে ভরে উঠে এই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্ভ। পরে সকাল ৮টায় নওগাঁ ষ্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠত হয়। এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, এক মিনিট নিরবতা পালন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নিয়ামতপুর: খাদ্যমন্ত্রীর পক্ষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আবেদ হোসেন মিলনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তাবক অর্পন করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামীলীগ, উপজেলা বিএনপি, উপজেলা প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এ্ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন।
উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বজলুর রশীদ ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর তমা চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অফিসার ইন চার্জ মাইদুল ইসলামসহ সকল সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। কুচকাওয়াজে তিয়ান্সি প্রি-ক্যাডেট একাডেমীসহ উপজেলা সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করেন। এছাড়া হাজিনগর ইউপি আওয়ামীলীগ, হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদ, চন্দননগর কলেজ ও ইউনিয়ন পরিষদ, ভাবিচা ইউপি আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন পরিষদ শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ, নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও ইউনিয়ন পরিষদ, আলাদা আলাদাভাবে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করেন।
পত্নীতলা: নওগাঁর পত্নীতলায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও ৪৭, নওগাঁ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শহীদুজ্জামান সরকার। উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফফার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ পপি খাতুন ও পত্নীতলা থানার আফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে কুচকাওয়াজ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে প্যারেড পরিদর্শন, পুলিশ-আনসার সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে পরিদর্শন করেন।
গোমস্তাপুর: মঙ্গলবার রহনপুর এবি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত আনজুম অনন্যা। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা, রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান, গোমস্তাপুর থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নুহু, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সর্ব স্তরের জনসাধারণ।
বাগাতিপাড়া: উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাইমেনা শারমীন’র সভাপতিত্বে ও শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষক আরশাদ মাহমুদ’র সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খোদীজা বেগম শাপলা, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী, বাগাতিপাড়া পৌরসভার মেয়র এ.কে.এম. শরিফুল ইসলাম লেলিন, জেলা আ’লীগের উপদেষ্টা অধ্যাপক আবুল হোসেন ও সেকেন্দার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুরাইয়া মমতাজ, বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান, বাগাতিপাড়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভার.) খলিলুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ’র সভাপতি (ভার.) সুকুমার মুখার্জি ও সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান প্রমুখ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: এদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক ও সরকারের উপসচিব দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মোঃ ছাইদুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবুল কালাম সাহিদ। জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওদুদ এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ রুহুল আমিন, সহসভাপতি ডা. গোলাম রাব্বানী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন-উজ্জামানসহ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মোহনপুর: এদিন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়শা সিদ্দিকা। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান মেহেবুব হাসান রাসেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা রহমান রিক্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিথিলা দাস, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হরিদাস মন্ডল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল সরকার, আলমগীর মোরশেদ রন্জু, আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব এনামূল হক, সুলতান আহম্মেদ, বিন-বিল্লাহ জাহাঙ্গীর আলম মিলনসহ বিভিন্ন দপ্তরের অফিসার বৃন্দ।


প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪ | সময়: ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ