রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের বিতর্কিত সভাপতি সম্পাদককে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানা ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমিকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমানাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ বিন কাদের। তবে কী সুপারিশ করেছেন সেই বিষয়য়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
তদন্ত কমিটি জমাদানে লিখিত প্রতিবেদনে এসেছে এই প্রতিবেদককের হাতে। সখানে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত সমস্ত তথ্য প্রমান পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক যে সকল কর্মকান্ডে জড়িত তা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও আদর্শের সাথে চরম মাত্রায় সাংঘর্ষিক।
এমতাবস্থায় রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট এদের দ্বারা পরিচালিত হলে সংঘটনের ভাব-মূর্তি চরম ভাবে বিনষ্ট হবে যা আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে। সুতরাং তাদের স্থায়ী বহিস্কারের জোর সুপারিশ করছি।
এর আগে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার বিরুদ্ধে এক নারী কর্মীর সঙ্গে অসদাচরণের একটি অডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এছাড়া সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ফেন্সিডিল খাওয়ার অভিযোগ উঠে। দুইটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নানা বির্তকের সৃষ্টি হয়। পরে উক্ত ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সেখানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক শেখ শামীম তুর্য, উপ আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস, সহ-সম্পাদক তানভীর আব্দুল্লাহকে রাখা হয়। তারা রাজশাহী এসে সরেজমিন ঘুরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাসের সাথে মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। এটি নিয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে কী সুপারিশ করেছেন সেটি তিনি পরবর্তীতে জানাবেন বলে জানিয়েছে।
এবিষয়ে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম রানার মুঠোফনে একাধিরবার যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন অমি দাবি করেছেন তিনি এই বিষয়ে কিছুই জানেন না।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২২ | সময়: ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ