রাজশাহীতে জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার: ‘কুসংস্কার দূরীকরণে বিজ্ঞানের চেয়ে সামাজিক আন্দোলন জরুরি’ এ বিষয়ের উপর চলছিল যুক্তি ও পাল্টা যুক্তি। এ বাগযুদ্ধ উপভোগ করছিলেন আয়োজক ও দর্শকরা। বলছি, গতকাল সোমবার হয়ে যাওয়া দেশের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান বিতর্ক প্রতিযোগিতার আসর বিএফএফ-সমকাল জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসবের রাজশাহী জেলা পর্যায়ের ফাইনাল রাউন্ডের কথা।
রাজশাহী লোকনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের হল কক্ষে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় গভ: ল্যাবরেটরি হাই স্কুল চ্যাম্পিয়ন এবং হাজী মুহম্মদ ম্হুসীন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় রানার্সআপ হয়েছে। শ্রেষ্ঠ বক্তা হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের নাগিব সাইফ দীপ।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সুহৃদ সমাবেশের সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন গ্রুপ অব লিবারেল ডিবেটার্স বাংলাদেশ এর যুগ্ম সম্পাদক রুবাইয়া জান্নাত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডিবেটিং ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য বাহারুল ইসলাম।
সমকালের রাজশাহী ব্যুরো প্রধান সৌরভ হাবিবের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল খালেক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. ইসমাইল হোসেন, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের প্রভাষক ও সুহৃদ সমাবেশ রাজশাহী জেলার সদস্য ডা. মুসাদ্দিকুন নাহার শুকরিয়া, সমকাল সুহৃদ সমাবেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি ইমরান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রুবাইয়া জান্নাত, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি নাফিউ ইসলাম সেতু।
অনুষ্ঠানের অতিথি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস শিল্পী বলেন, আমি যদি একটি তালগাছকে এখানে বসিয়ে নিয়ে প্রমাণ করতে পারি যে তালগাছে ডাব ধরেছে, তাহলে অবশ্যই সেটা ডাব গাছ হবে। আর তুমি যদি তাল গাছে দুটো আম ঝুলিয়ে পাতা লাগিয়ে স্ট্যাবলিশ করতে পারো এটা তালগাছ না আম গাছ। আমি আর তুমি নিয়মতান্ত্রিক ও সুশৃঙ্খল উপায়ে যখন এ জিনিসটা নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামবো, তখন সেটাকেই বলবে বিতর্ক। আমরা যখন যুক্তি তর্কের মাধ্যমে কোন বিষয় প্রতিষ্ঠিত করবো, তখন সেটাই হচ্ছে বিতর্ক।
রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল খালেক বলেন, ‘বিতর্ক মানেই যুক্তি, বিজ্ঞানে মুক্তি’ স্লোগানটি খুবই চমৎকার। ক্ষুদে বিতার্কিকদের বিতর্ক ছিল খুবই দারুণ। একটি যুক্তিনির্ভর ও বিজ্ঞানমনস্ক জাতি যদি গঠন করতে হয়, তবে এ ধরনের আয়োজনের প্রয়োজন আছে।
প্রতিযোগিতার প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডে বিচারক হিসেবে দায়ি়ত্ব পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ডিবেটিং ক্লাবের সদস্য আহনাফ তাহমিদ, শাহরিনা আফরোজ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক নাদিম হোসেন, শফিকুল ইসলাম, আবু নাঈম, সুমিত হাসান, নেছার, আসাদুজ্জামান সিয়াম, সৌহার্দ্য।
উল্লেখ্য, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া অন্য দলগুলো হলো- সিরোইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শিমুল মেমোরিয়াল স্কুল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল। প্রতিযোগিতায় রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল রেজিস্ট্রেশন করলেও অংশগ্রহণ করেনি।


প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৪ | সময়: ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ