মূল্যস্ফীতি কমবে মে-জুনে

বিশেষ প্রতিনিধি : মুল্যস্ফীতি অর্থনীতিতে একটি বড় সমস্যা বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। তাই এটি কমিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। তবে তা রাতারাতি কমানো যাচ্ছে না। এজন্য পথ খুঁজছে সরকার। মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে সময় লাগবে আরও অন্তত দুই থেকে তিন মাস। এই সময়ে মূল্যস্ফীতি সাড়ে সাত শতাংশে নামিয়ে আনা যাবে বলে আশা প্রকাশ করছে সংশ্লিষ্টরা।
গত শনিবার ঢাকায় আসেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনা বেয়ার্দ। তিনি বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অভিভূত হয়েছেন। বিশেষ করে দারিদ্রতার হার কমিয়ে আনায় সরকারের প্রশংসা করেছেন তিনি।
তার মতে, সারা বিশ্ব এখন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তার মধ্যেও বাংলাদেশ বেশ ভালো করছে। তবে মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করবেন বলেও জানান তিনি।
মূল্যস্ফীতি কমাতে কাজ করছে সরকার। তবে তা রাতারাতি কমানো সম্ভব নয় বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। রমজানের পর থেকে, বিশেষ করে মে-জুন মাসের দিকে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
বাংলাদেশে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের কাছাকাছি। তবে আগামী কয়েকমাসের মধ্যে তা কমে সাড়ে সাত শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বরের চেয়ে জানুয়ারি মাসে বেড়েছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কিছু সংস্কার দরকার বলে আমরা মনে করছি। বিশেষ করে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশকেও মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় মনোযোগী হতে হবে এবং মূল্যস্ফীতি কীভাবে কমানো যায় সেই পথ তৈরি করতে হবে।
অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আগামী রমজান মাস ও ঈদের পর সাধারণ মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে কমে আসবে এবং জুনের মধ্যে তা ৭ দশমিক ৫ শতাংশে থাকবে।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪ | সময়: ৬:২২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ