এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে রাবির ফলাফল ও সনদ

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা ও সনদপত্র বিতরণে অটোমেশন কার্যক্রম শুরু করেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূরীকরণে পুরোনো আমলের কাগজ-কলমের দীর্ঘসূত্রীতার বদলে সেন্ট্রাল সিস্টেমে অনলাইনেই সকল কার্যক্রম আনতে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করেছে দফতরটি। নতুন এই পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
বিশ^বিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আশরাফুল আলম খান জানান, ক্লাসে উপস্থিতি, পরীক্ষার নিবন্ধন, পরীক্ষা গ্রহণের ৪ সপ্তাহের মধ্যে ফল প্রকাশসহ সব কিছুই এখন অনলাইনে হবে। শিক্ষার্থীরা বিশ^বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে তাদের স্টুডেন্ট প্রোফাইলে ঢুকে সব কিছুই দেখতে পাবেন। সনদপত্র ও নম্বরপত্র উত্তোলনে আর ভোগান্তি পেতে হবে না। অটোমেশনের পর এক ক্লিকেই তারা নিজেদের নম্বরপত্র ও সনদপত্র পাবেন।
দফতরটি জানায়, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা থেকেই এই পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর জন্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে সমস্ত কাগজপত্র স্ক্যান করে আর্কাইভ করার পাশাপাশি অনলাইন ডেটাবেজে বর্তমান ও পাশ করে যাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য আপডেট করা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিশ^বিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এই নতুন ব্যবস্থাপনা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সভাপতি, অনুষদ অধিকর্তা, ইনস্টিটিউট পরিচালক ও হল প্রভোস্টদের সঙ্গে আলোচনা করেছে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতর। এতে আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম খান অটোমেটেড পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির বিভিন্ন কারিগরী ও প্রায়োগিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এখন গোটা পৃথিবী অনলাইনে চলে গেছে। কিন্তু আমাদের পরীক্ষার কার্যক্রমের জন্য বিভাগ, হল, ব্যাংক ও প্রশাসন ভবনে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। পরীক্ষার আগে প্রস্তুতির জন্য মূল্যবান সময়টা এই ভোগান্তির মধ্যেই যেতে হয়। যদি সবকিছু অটোমেশনে চলে তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
সাবেক শিক্ষার্থী প্রিন্স আহমেদ বলেন, সার্টিফিকেট ও ট্রান্সক্রিপট তুলতে যে প্রশাসন গেছে সে জানে যে কয় জোড়া জুতা ক্ষয় করতে হয়। ব্যাংক, হল, প্রশাসন ভবনের মধ্যে এই কাগজ, সেই কাগজ করতে করতে আমাদের জীবন যায়। একটা সার্টিফিকেট তুলতে কয়েকদিন সময় চলে যায়। আর যারা ক্যাম্পাস ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় চলে গেছেন, তাদের জন্য আরও কঠিন। অটোমেশনের কারণে যদি সার্টিফিকেট আর ট্রান্সক্রিপ্ট আমাদের ইমেইলে চলে আসে, তাহলে এই ভোগান্তি থাকবে না।


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪ | সময়: ৫:৫২ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ