সর্বশেষ সংবাদ :

বস্তায় আদা চাষে রোকসানার বাজিমাত 

নিয়ামতপুর প্রতিনিধি:
নিত্যদিন খাবারে স্বাদ বাড়াতে আদার জুড়ি নেই। ওষুধশিল্পেও কাঁচামাল হিসেবে আদার চাহিদা থাকে ব্যাপক। ভোক্তার কাছে সারা বছরই আদার চাহিদা থাকে ব্যাপক তুঙ্গে। নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় বস্তায় আদা চাষে বাম্পার ফলনে রোকসানা খাতুনের মুখে হাসি ফুটেছে। নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর বালুকাপাড়া গ্রামের রোকসান খাতুন। তিনি ৭ শতাংশ জমিতে ৫৫০ বস্তায় ৩৩ হাজার টাকা খরচে আদা চাষ শুরু করেন।

 

কৃষি বিভাগের পরামর্শে নিজেই বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত জায়গা বস্তায় আদা চাষের পরিকল্পনা করেন। পরে নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরামর্শে ৫৫০ বস্তায় মাটি ভরে আদা চাষ শুরু করেন।

 

উপজেলার আদা চাষী রোকসানা খাতুন বলেন, বস্তায় আদা চাষ তুলনামূলক রোগ বালাই ও খরচ কম। ফলনও ভাল, লাভ দ্বিগুন। ছায়াযুক্ত হওয়ায় খরার কোন প্রভাব পড়ে না। প্রতি বস্তায় খরচ হয়েছে ৬০ টাকার মত। প্রতি বস্তায় গড় উৎপাদন ১.২৫ কেজি। ৫৫০ বস্তা আদা চাষে খরচ হয়েছে ৩৩ হাজার টাকা, আদা বিক্রি হবে প্রায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৬৬০ টাকায়।

 

তিনি আরোও বলেন, বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত জায়গা গুলোতে এভাবে আদা চাষ করে বেকার যুবকরা বছরে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা আয় করতে পারবে। আমরা চাকুরীর পিছনে না ছুটে নিজেদের আশেপাশের পরিত্যক্ত জায়গায় এভাবে আদা চাষ করে সফল হতে পারি।
নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কামরুল হাসান বলেন, জমিতে আদা চাষের চেয়ে বস্তায় আদা চাষ অনেক লাভজনক, বস্তায় আদা চাষে পচন থেকে আদা অনেক নিরাপদ থাকে, এতে কৃষক বেশি লাভবান হয়। কৃষি অফিস থেকে আদা চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং সব রকম সহযোগীতার আশ্বাসও দেন তিনি।

সানশাইন / শামি

 

 


প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৪ | সময়: ৬:২৭ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine