নওগাঁয় ১৬ চালকল মালিককে জরিমানা, ৩টি গোডাউন সিলগালা 

নওগাঁ প্রতিনিধি : 
নওগাঁয় একই দিনে মালিক গ্রুপের সভাপতিসহ অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ করার অপরাধে জেলা চালকল মিল মালিকের ১৬জনকে ৫ লাখ ৭০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে ৩টি গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলা সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পত্নীতলায় উপজেলায় পৃথক এলাকায় দিনব্যাপী মজুদ বিরোধী অভিযান চালিয়ে এই দন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এ নিয়ে ৫ দিনে(মঙ্গলবার থেকে শনিবার ) নওগাঁয় ২১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হলো। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলে এসব তথ্য জানানো হয়।

 

কাগজপত্র দেখছেন ভ্রাম্যমান আদলত –  প্রতিনিধি

মিডিয়া সেলের তথ্যে বলা হয়, ধান-চালের অবৈধ মজুদ খুঁজতে দুপুর থেকে রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত জেলার সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পত্নীতলায় উপজেলায় জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মজুদবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন।

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম রবিন শীষ বলেন, অভিযানে নির্ধারিত সীমার চেয়ে অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ রাখায় শহরের আনন্দনগর মহল্লার আর এম রাইস মিলের মালিক রফিকুল ইসলাম রফিককে ১লাখ টাকা জরিমানা ও ৩টি গোডাউন সিলগালা করা হয়। তছিরন অটোমেটিক রাইস মিলের মালিককে ১লাখ টাকা, মেসার্স এম এম অটো রাইস মিল মালিককে ৫০হাজার টাকা, মফিজ উদ্দিন অটোমেটিক রাইস মিলের মালিককে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স জায়েদা ট্রেডার্স মালিককে ১লাখ টাকা, মেসার্স সুফিয়া অটোমেটিক নাইস মিল মালিককে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া মহাদেবপুর উপজেলার নাহার আরমান অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ৩০হাজার টাকা, শাপলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ২০হাজার টাকা, দাদা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জাহিদ অটোমেটিক রাইস মিল মালিকে ও মক্কা মদিনা অটোমেটিক রাইস মিল মালিকে জরিমানা করা হয়। মান্দা উপজেলার সাবাই হাট এলাকায় অবৈধ ধান মজুদের দায়ে এবং লাইসেন্স না থাকার জন্য ফয়জুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ীকে ২০হাজার টাকা ও সুমন কুমার নামে আরও এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পত্নীতলা উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া ধান মজুদের দায়ে আরও ৩ধান ব্যাবসায়ীকে ৩৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, অবৈধভাবে মজুতকৃত এসব ধান-চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং একজন উপ পরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদারকি করবে। ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুতবিরোধী এই অভিযান চলমান থাকবে।

সানশাইন / শামি

 

 


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২৪ | সময়: ৬:২৯ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine