সর্বশেষ সংবাদ :

সরিষার ফলনের আশায় স্পন্দিত কৃষকের বুক

তাড়াশ প্রতিনিধি: তাড়াশ উপজেলার দিগন্তজুড়ে সরিষা চাষের চোখজুড়ানো এক দৃশ্য মাঠের পর মাঠ হলুদে একাকার। তাড়াশ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সরিষার আবাদ হয়।
অনেক মাঠেই এখন সরিষা দানা বাঁধতে শুরু করেছে, আবার কোথাও পুরোদমে ফুল ফুটতে শুরু হয়েছে। মাঠজুড়ে সরিষার ভাল ফলনের আভাস দেখে নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষক।
তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের মহেশরৌহালীর মাঠ ঘুরে দেখা যায়, এলাকাসহ বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শুধুই হলুদ আর হলুদ। দুচোখ যেদিকে যায় সেদিকেই সরিষার হলুদ রঙের ফুল। একদিকে চলন বিলের মাঠজুরে অন্যদিকে সরিষা ফুলের হলুদের সমারোহ। চলন বিলের এমন সৌন্দর্য উপভোগে প্রতিদিন এসে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ। মনোরম দৃশ্যের সঙ্গে নিজেকে ক্যামেরা বন্দী করছেন।
তাড়াশ উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলার ৭ হাজার ৫০৯ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলার মহেশরৌহালী গ্রামের কৃষক আবুল মিয়া জানান, এবছর ১৫ কাঠা নিচু জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছেন। গতবছরও প্রায় ১০ কাঠা জমিতে সরিষা চাষে লাভ হওয়ায় এবছর আরও বেশি জমিতে আবাদ করেছেন। আশা করছেন, প্রতি কাঠায় ৫০ থেকে ৬০ কেজি করে সরিষা পাবেন।
তাড়াশ সদর উপজেলার বিনোতপুর এলাকার সরিষা চাষি আব্দুল ছামাদ বলেন, অন্যান্য কৃষকদের কথায় আগ্রহী হয়ে গত বছর তিনি প্রাথমিকভাবে দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলেন। সরিষার ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় এ বছর তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ বলেন, বোরো চাষের আগে সরিষা চাষ করতে পারায় কৃষকরা অধিক লাভবান হয়েছে। যার ফলে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরিষা চাষে উৎসাহিত করতে আমরা কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করে করছি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, সরিষা আবাদে রোগ বালাইয়ের খুব একটা আক্রমণ হয় না এবং শ্রম ও খরচ কম হওয়ায় চাষিরা অধিক লাভবান হচ্ছেন। আমরা বারি-১৭, বারি-১৮, বারি-৯ এ সকল উচ্চফলনশীল জাতের সরিষার আবাদের পরামর্শ দিচ্ছি।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৪ | সময়: ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ