তীব্র শীতে জনজীবনে স্থবিরতা

স্টাফ রিপোর্টার, গোদাগাড়ী: তাপমাত্রার পারদ ক্রমশ নিম্নগামী। ঘন কুয়াশায় সূর্যের দেখা নেই। হিমেল হাওয়া যোগ করেছে শীতের তীব্রতা। হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডায় বেড়েছে মৌসুমি রোগবালাই। রাজশাহী সহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। জবুথবু জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। সব মিলিয়ে শীতে কাবু দেশ। যে চিত্র সহসায় বদলাচ্ছে না। আরও কয়েকদিন এমন শীত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এরপর বৃষ্টির আভাসও দিচ্ছে। এদিকে শীতের তীব্রতার কারণে বাজারে বেড়েছে শীতকালীন গরম পোশাকের বিক্রি। অন্যদিকে শ্রমজীবী মানুষের আয় কমেছে। গ্রামাঞ্চলে তীব্র শীতে কষ্ট পাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এদিকে হাসপাতলে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর ভিড় বাড়ছে।
পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় অনেকেই খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ স্বল্পমূল্যে শীতবস্ত্র কিনতে পুরোনো পোশাকের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। গতকাল সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনাজপুরে। রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়াও আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী চার দিনের মধ্যে সারা দেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে নৌ এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, তীব্র শীত আরও দুই দিন থাকতে পারে। এরপর ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পর আবার তীব্র শীত নামবে। মাসের বাকি সময় থাকতে পারে তীব্র শীত।
এদিকে গোদাগাড়ীতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় এবং সারাদিন সূর্যের দেখা না মেলায়, কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন। খুব কাজ না থাকলে মানুষ বাসা থেকে বের হচ্ছে না। যারাও বের হচ্ছে তারাও কাজ শেষে দ্রুত ঘরে ফিরছে।
তীব্র শীতে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। গোদাগাড়ী ৩১ শয্যা হাসপাতালে গতকাল গিয়ে দেখা যায়, বিপুলসংখ্যক রোগী ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগী চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন। হাসপাতালের শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি ছিল।
গোদাগাড়ীতে গার্মেন্টসের দোকান ও ফুটপাথে বেড়েছে শীতের কাপড়ের বিক্রি। হঠাৎ গরম কাপড়ের চাহিদা তুঙ্গে থাকায় খুশি ব্যবসায়ীরা। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শরিফুল জানান, এবার শীতের কাপড়ের চাহিদা শুরুতে কম ছিল। কিন্তু হঠাৎ শীত বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে অনেক। সববয়সী মানুষের কথা চিন্তা করেই দোকানে কালেকশন রাখা হয়েছে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ | সময়: ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ