নগরীজুড়ে ‘কাঁচি’র জয়ধ্বনি

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরজুড়ে রাজশাহী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার প্রচারণায় ভোটের মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। নগরজুড়ে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া মিলছে কাঁচি প্রতীকে।
নির্বাচন ঘিরে রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে চলছে কাঁচি প্রতীকের প্রচার। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাড়াও সাধারণ মানুষও ব্যাপকভাবে প্রচারে নেমেছে। নির্বাচন যতোই কাছে আসছে ততোই কাঁচি প্রতীকের অবস্থান স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কাঁচি প্রতীকের প্রতি সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও শিক্ষক নেতা হিসেবে শিক্ষক সমাজেও তার এক ধরনের গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে।
রাজশাহী মহানগরীর সাধুর মোড় এলাকার জয়নাল হোসেন মিলন জানান, সংসদ সদস্য হিসেবে মহাজোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশাকে এতোদিন দেখলাম। এখন নতুন কাউকে দেখতে চাই। এ নতুনের মধ্যে কাঁচি প্রতীকের অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশার বিকল্প কেউ নেই।
এদিকে, রাজশাহী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশাকে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে গণসংযোগ ও প্রচার সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার সারাদিন।
কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রার্থী আছে। ভোট উন্মুক্ত করে দিয়েছি। নির্বাচনে যার যার ভোট, সে তার শান্তিমতো দিবে। সে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা সফল হবো। জনতার জয় হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট। সুতরাং রাজশাহী-২ (সদর) আসনে কাঁচি প্রতীকের পক্ষে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে, তা আর দমিয়ে রাখা যাবে না। আগামী ৭ তারিখে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে কাঁচি প্রতীকের জয় হবে। আর কাঁচি প্রতীকের জয় হলেই জনতার জয় হবে।
বুধবার বিকেলে নগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গনসংযোগকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।
তিনি আরও বলেন, ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও যিনি জনগণের নূন্যতম আস্থা অর্জন করতে পারে নি, রাজশাহীর মানুষ তাকে চাই না। একারণেই পাড়া-মহল্লায় দল-মত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ পরিবর্তন ও আস্থার প্রতীক হিসেবে কাঁচি প্রতীকের বিজয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন নিয়ে বারবার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এবারের নির্বাচনের জাতীয় ও আন্তজার্তিক পেক্ষাপট ভিন্ন। এবারের নির্বাচন যে কোন মূল্যে সুষ্ঠু, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। যার যার জনপ্রিয়তা নিয়ে বিজয়ী হতে হবে। আর রাজশাহীতে কাঁচি প্রতীক নির্বাচনে না আসলে নির্বাচন কখনোই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতো না। অথচ হওয়ায় ভেসে ক্ষমতার মসনদে বসা জনবিচ্ছিন্ন নেতা রাজশাহীতে যেন আওয়ামী লীগের কেউ ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে নির্বাচন করতে না পারে, সেজন্য নানাবিধ চাপ সৃষ্টি করেছে। আজ ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রে মেতেছে। তবে সেই ষড়যন্ত্রও সফল হয় নি। ৩ জানুয়ারি নিয়ে যে মিথ্যা গুঞ্জন ছড়ানো হয়েছিলো, তাও ব্যর্থ হয়েছে। সুতরাং কোন ষড়যন্ত্রই আর কাঁচি প্রতীকের জয় রুখতে পারবে না। মানুষ যেভাবে কাঁচি প্রতীকের পক্ষে স্বতঃর্স্ফুতভাবে এগিয়ে এসেছে, সেটা দমানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, মানুষ উন্নয়নের পক্ষে আজ সোচ্চার। পরিবর্তনের পক্ষে সোচ্চার। কাঁচি প্রতীকের পক্ষে সোচ্চার। সুতরাং কাঁচি প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত। এসময় আগামী ৭ জানুয়ারি সকলকে ভোট কেন্দ্রে এসে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগের অনুরোধ জানান কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।
এদিন ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিনের নেতৃত্বে পৃথক দুটি বিশাল প্রচার মিছিল ও প্রচার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। এছাড়া আজকেও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের আয়োজনে প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে হাজার হাজার কর্মী, সমর্থক ও ভোটাররা অংশ নেয়। এসকল কর্মসূচিতে মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনগুলোসহ নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে প্রচারসভা করা হয়।
রাজশাহী-২ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, বিগত ১৫ বছরে এই আসনে যিনি সংসদ সদস্য ছিলেন, তিনি এ অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে কোন ক্ষেত্রেই অবদান রাখেন নি। একারণে তিনি সবদিক থেকে জনবিচ্ছিন্ন। রাজশাহী-২ (সদর) আসনে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা ও পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘কাঁচি’। একারণেই পাড়া মহল্লায় গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। আপনারা ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, সবাই বিবেকবান মানুষ। আগামী দিনে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে কাঁচি প্রতীকে ভোট দিন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা আরও বলেন, মানুষ এখন পরিবর্তন চাই। আর পরিবর্তনের কান্ডারী হলো “কাঁচি প্রতীক”। ঘরে ঘরে কাঁচি প্রতীকের গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যেমনই হোক কাঁচি প্রতীক নির্বাচনে থাকবেই। কোন বাঁধা-বিপত্তি কাঁচি প্রতীকের গণজোয়ার ঠেকাতে পারবে না। আপনারা আপনাদের জায়গা থেকে কাঁচি প্রতীকে ভোট দিয়ে আগামী দিনে আপনাদের পাশে থাকার সুযোগ দিবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা।
নির্বাচনী এই প্রচার সভায় ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ ও নির্মাণ শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রচার সভাশেষে নগরীর লক্ষ্মীপুর, রেলগেটসহ আশেপাশের এলাকায় গণসংযোগ করা হয়।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৪ | সময়: ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ