সর্বশেষ সংবাদ :

রাজশাহীতে এক নারীকে অমানবিক নির্যাতনের পর হত্যার চেষ্টা, পালিয়ে রক্ষা

দুর্গাপুর প্রতিনিধি:

রাজশাহীর দুর্গাপুরে এক নারীকে প্রতারণা করে বিয়ের পর অমানবিক নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে কৌশল করে পালিয়ে রক্ষা পান ওই নারী। ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম তহুরা খাতুন (৩৫)। সে দুর্গাপুর উপজেলার হোজা অন্ততকান্দি গ্রামের মোজাহার আলীর মেয়ে। নির্যাতনের শিকার তহুরা খাতুনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

 

 

তহুরা বলেন, প্রায় ১০ মাস আগে উপজেলার পালিবাজারের রবিউল ইসলাম নামের এক যুবকের সঙ্গে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারেন তার আসল নাম ও চাকরির বিষয়ে মিথ্যা বলে প্রতারণা করেছে সে।

তহুরা বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর রবিউল চাকরির সুবাদে আমাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যায়। সে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নামক স্থানে থাকতেন। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই রবিউল আমার প্রতি অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন। সেখানে আমার কেউ না থাকায় ঘর বন্ধ করে দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করতেন। চাইলেও সেখান থেকে পালানোর সুযোগ ছিল না।

তহুরা আরও বলেন, গত ৮ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে রবিউল বাড়িতে এসেই আমাকে মারধর শুরু করেন। এরপর আমাকে বেঁধে আমার ওড়না দিয়েই গলায় ফাঁস দেন। এ সময় আমি মেঝেতে পড়ে গেলে সে মারা গেছে বলে, ওভাবেই ফেলে রেখে খাবার খেতে বসেন।

এ সুযোগ ঘর দরজা খোলা থাকায় সেখান থেকে পালিয়ে আমি বাসায় চলে আছি। আমার শরীর আঘাতের জখম দেখে পরিবার লোকজন আমাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

জানতে চাইলে তহুরার স্বামী রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে সেদিন একটু ঝামেলা হয়ে ছিল। এতে তহুরা আমার গোনাঙ্গ চেপে ধরে ছিল। আমি বাঁচার তাগিদে তাকেও তার ওড়না চেপে ধরি। তখন সে আমাকে ছেড়ে দেয়।

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খাইরুল ইসলাম বলেন, এখনো এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: জানুয়ারি ১০, ২০২৪ | সময়: ৭:০৬ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine