সর্বশেষ সংবাদ :

ফজলে হোসেন বাদশা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে : অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা

স্টাফ রিপোর্টার : 

জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্ববিদ্ধ করতে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের উষ্কানি ও কর্মীদের হেনস্থা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঁচি প্রতীকের লাখো মানুষের শান্তিপূর্ণ গণমিছিলে ফজলে হোসেন বাদশার অতিউৎসাহী নেতা-কর্মীরা উষ্কানিমূলক বক্তব্য ও কাঁচি প্রতীকের কর্মীদের হেনস্থা করেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাত ৮ টায় কাঁচি প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি। এসময় অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বর্তমানে আমার কাঁচি প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমার কাঁচি প্রতীকের গণজোয়ারে ভীত হয়ে বর্তমান সংসদ সদস্য ১৪-দলীয় জোট প্রার্থী বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা ও তার দলীয় কর্মী-সমর্থকরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধকরতে নানা ধরণের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

 

তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্টু, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা এবং তার পক্ষের কিছু লোক প্রতিনিয়ত আমার কাঁচি প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের নির্বাচনি কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করছে। আজকে আমার কাঁচি প্রতীকের পক্ষে সাহেব বাজার এলাকায় একটি বিশাল প্রচার মিছিল বের হলে আমার প্রচার মিছিলে অংশগ্রহনকারী কর্মীদের ফজলে হোসেন বাদশার কর্মী-সমর্থকরা হেনস্তা করে। আমার মিছিলটি সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট দিয়ে প্রদক্ষিনকালে ফজলে হোসেন এর কর্মী-সমর্থকেরা নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক কথাবার্তা মাইকযোগে বলতে থাকে।

 

 

এছাড়া আমরা যখন সংবাদ সম্মেলন করছি, এখন বাজে রাত সাড়ে ৮টার বেশি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আমার সংবাদ সম্মেলনকে বাঁধাগ্রস্থ করতে ২৫ টি মাইক একসঙ্গে আমার নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে বাজানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গত ০৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী জেলা ও মহানগরসহ ০৮টি জেলার নির্বাচনি জনসভায় (ভার্চুয়াল) বলেন, ‘আমার ভোট আমি দিবো, যাকে খুশি তাকে দিবো।’

 

 

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কোন ভাবেই যেন হয়রানি করা না হয় এবং নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য নির্দেশনা দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। একটি অংশগ্রহনমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমি এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করছি। আসন্ন নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে সরকারি দল ও বিরোধী দল উভয়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাদের সহযোগিতায় আমি এই মহান সংসদে আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে চাই। যার পক্ষে আপনাদের অবস্থান ইতিমধ্যেই আপনারা ব্যক্ত করেছেন। আপনাদের কাছে আহ্বান আপনারা সচেতন থাকবেন। কোন অপশক্তি যেন জনগণের রায়কে ছিনিয়ে নিতে না পারে।সংবাদ সম্মেলনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. মোসাব্বিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আসলাম সরকার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এএফএম ডা. জাহিদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক তৌফিক আলী ভাদু, যুব মহিলা লীগের সভাপতি অ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফা ইয়াসমিন নিলু, জাসদ মহানগর শাখার সভাপতি নুরুল ইসলাম হিটলারসহ আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৪ | সময়: ১০:০৯ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine