পালে হাওয়া, চারঘাট-বাঘায় তরতরিয়ে ছুটছে নৌকা

নুরুজ্জামান, বাঘা: রাজশাহী ৬ চারঘাট-বাঘায় নির্বাচনী প্রচারণা এখন জমজমাট। কারণ আর মাত্র তিনদিন পর অনুষ্ঠত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। এ আসনে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে যুদ্ধ হবে দ্বিমুখি। এযুদ্ধে এখন পর্যন্ত নৌকার পালে বইছে বৈতরণী হাওয়া। এই আসনে মনোনয়ন যাচাই বাছাইয়ের পর মোট ৬ জন প্রার্থী প্রচারণায় নেমে ছিলেন।
এরমধ্যে একজন বাঘার কৃতিসন্তান ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুদ্দিন (রিন্টু) তিনি নিজ দলীয়-নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ইতোমধ্যে ভোট বর্জন করে নৌকাকে সমর্থন দিয়েছেন। এরফলে পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন নৌকার জোরার সুনিশ্চিত বলে মস্তব্য করেছেন ভোটার ও এলাকার সুশীল সমাজ।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা গেছে, তিন বারের সংসদ সদস্য ও দুই বারের সফল পররাষ্ট প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তাঁর দায়িত্ব পালনকালে সরকারকে সফলতা দেখিয়েছেন। এ কারণে তাঁকে দল আবারও দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে।
তিনি এবারের নির্বাচনে একশ কিলো রাস্তা হাঁটার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রতিদিন ছুটছেন দুই উপজেলার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এই ছোটা-ছুটির মধ্যে কোন কোন এলাকায় গিয়ে করছেন নির্বাচনী পথসভা ও মা-সমাবেশ। এতে করে জনসমর্থনে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে তাঁর দৃশ্যমান উন্নয়নের কথা জনগণের মাঝে তুলে ধরে বলছেন, আপনারা আমাকে একটানা তিনবার সম্মানীত করেছেন। আমি আপনাদের দেয়া সম্মান ধরে রেখে এলাকায় একের পর এক উন্নয়ন করে চলেছি। আমার নামে যদি কেউ একটি এনিয়ম কিংবা দুর্নীতির কথা প্রমান করতে পারেন, তাহলে আমি এর খেসারত গুনবো। আর যদি না পারেন, তাহলে দয়া করে আমাকে ভোট টা দিবেন। যেনো অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে পারি। আমি আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত। এ ভালোবাস আজীবন ধরে রাখতে চাই।
স্থানীয় লোকজন জানান, ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উপজেলা বাঘা ও চারঘাট। পদ্মা পাড় ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই দুই উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-৬ আসন। স্বাধীনতার পর এ আসনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুটি উপ-নির্বাচন সহ মোট সাতটি সংসদীয় নির্বাচনের চারবার আওয়ামী লীগ, দুইবার বিএনপি, একবার জাতীয় পার্টি ও একবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচিত হন।
ওই নির্বাচনে বহিরাগত হটাও স্লোগ্নান এবং অন্য রাজনৈতিক দলের ভোটে বিদ্রোহীর জয় হয়। এবাও একই ব্যক্তি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহীর ব্যানারে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নৌকার বিপক্ষে লড়ছেন। তবে এতে কোন ফল আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
এলাকার লোকজন জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দল জামাত-বিএনপি কেন্দ্রে আসবেনা বলে তারা লিপলেট বিকরণ শুরু করেছে। যদি তাদের কথা-কাজ মিল থাকে, এবং ভোট কেন্দ্রে না আসে, তাহলে আবারও নৌকা বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়যুক্ত হবে।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৪ | সময়: ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ