চারঘাটে রেলের জমি অবৈধ দখলে থাকায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত সরকার

চারঘাট প্রতিনিধি : 
রাজশাহীর জেলার চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছীতে রেল লাইন ও ষ্টেশন সংলগ্ন বাংলাদেশ রেলওয়ের জমিগুলো অবৈধ দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা। এসব দখলকৃত জমির তৈরি দোকানসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাড়া দিয়ে লাভবান হচ্ছে  স্থানীয় দখলদাররা। সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে প্রায় কোটি টাকা।

 

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চারঘাট উপজেলায় ১৯২৯ সালে সরদহ রোড স্টেশন ও নন্দনগাছী স্টেশন নামে দুইটি রেলওয়ে স্থাপিত হয়। নন্দনগাছী-সরদহ রোড স্টেশন সেকশনে প্রায় ২০০ একর সরকারি জমি রয়েছে। বর্তমানে সরদহ রোড স্টেশনটি চালু থাকলেও জনবলের অভাবে সাত বছর যাবত নন্দনগাছী স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আর এ সুযোগে নন্দনগাছি রেল ষ্টেশন সংলগ্ন জমি দখল করে দোকান ঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তৈরিতে ব্যস্ত স্থানীয় দখলদাররা।

 

সরেজমিন উপজেলার দুই স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সরদহ রোড স্টেশন এলাকায় অপেক্ষাকৃত কম জমি দখল হয়েছে। কার্যক্রম বন্ধ থাকায় নন্দনগাছী স্টেশনে জমি দখল করে ৩৭৬টি দোকান ও স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছেন দখলদাররা। অপরদিকে সরদহ রোড স্টেশন সংলগ্ন জমিতে রয়েছে ৩২ টি দোকান ও স্থাপনা। রেলওয়ে সূত্রমতে-মোট ৪০৮ টি দোকানের মধ্যে রেলওয়ের অনুমোদন রয়েছে মাত্র ৩৭টি দোকানের। রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের পাকশী ভূসম্পত্তি কার্যালয়ের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে উৎকোচের মাধ্যমে নামকাওয়াস্তে লিজ ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এসব জমি দখল করে নিয়েছে স্থানীয় এ চক্র। তাতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।

 

ভাড়া আদায়কারী মো: সানাউল্লাহ বলেন গত এক বছরে নন্দনগাছী ও সরদহ রোড এলাকায় একাধিকবার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার উদ্যোগ নিয়েও কার্যক্রম পরিচালনা করেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এজন্য প্রতিনিয়তই রেলের জমি দখল বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ইউপি পরিষদ সংলগ্ন নন্দনগাছী স্টেশনের জমির দোকানগুলোতে ভাড়া তোলে কিছু ব্যক্তি। সরকারি জমি অথচ পরিষদ কিংবা রেল কেউ লাভবান হচ্ছেনা।

এ বিষয়ে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে আমাদের নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়না। এজন্য কিছু জমি বেদখল রয়েছে। খোঁজ নিয়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।

 

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) অসীম কুমার বলেন, নন্দনগাছী স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকায় কিছু জমি বেদখল হয়েছে। বিষয়টি আমাদের নজরেও এসেছে। স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হলে এসব স্থাপনা ভেঙে রেলের জমি দখলমুক্ত করা হবে।

সানশাইন /শামি

 

 

 


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩ | সময়: ১০:০৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine