নিউজিল্যান্ডের অহংকার গুঁড়িয়ে বাংলাদেশের ‘প্রথম জয়’ স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলেও তাদের কন্ডিশনে কখনোই ন্যুনতম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। এমনিতেও নিজেদের মাঠে কিউইরা বরাবরই অপ্রতিরোধ্য। টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত নিউজিল্যান্ড আজ জিততে পারলেই অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতে পারতো। কিন্তু তা হতে দেয়নি বাংলাদেশ। কিউই অংহকার গুঁড়িয়ে দিয়ে তার অবিস্মরণীয় এক জয় তুলে নিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বরাবরই হতাশাজনক ছিল। গত বছর জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। ওটাই ছিলো কিউই কন্ডিশনে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য। এবার সেটিকে ছাপিয়ে গেলো। তামিম-সাকিববিহীন বাংলাদেশ দারুণ প্রভাব বিস্তার করে অবিস্মরণীয় জয় পেলো শুধু ম্যাচ জিতেছে বললেও ভুল হবে। গত ১৬ বছরে ৭ বার নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ছয় সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিং-বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে এবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়েছে শান্ত-শরিফুল-তানজীম সাকিবরা। অধিনায়ক শান্ত ম্যাচের আগের দিনই আত্মবিশ্বাসী সুরে জানিয়েছেন, শেষ ম্যাচটা তারা জিততে মুখিয়ে আছেন। আজ ১৬তম ওভারে আদিত্য অশোকের প্রথম বলে ডাবল নিয়ে শান্তই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টেও দলকে সাফল্যে ভাসিয়েছেন। ওয়ানডেতে সাফল্য পেতে কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়েছে। সবমিলিয়ে ৬ষ্ঠ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছেন নবীন এই অধিনায়ক। নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডকে ৯৮ রানে অলআউট করে জয়ের সুবাস আগেই পাচ্ছিলো বাংলাদেশ। তবুও ম্যাচটা যে খেলেই জিততে হবে, তাই শঙ্কাও কম ছিল না। ৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে চোখের সমস্যার কারণে পঞ্চম ওভারে মাঠ ছাড়তে হয় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ার সৌম্য সরকারকে। দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৫০ বলে ৬৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন শান্ত। জয় থেকে যখন ১৫ রান দূরে তখন উইলিয়াম ও’রোর্কের শিকার হন বিজয়। ৩৩ বলে ৭ চারে সাজান নিজের ৩৭ রানের ইনিংসটি। এরপর লিটনকে নিয়ে বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন শান্ত। অশোকের প্রথম বলে ডাবল নিয়ে শান্ত ২০৯ বল বাকি রেখেই ৯৯ রানের লক্ষ্যটা ছুঁয়ে ফেললেন, তাতে দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ অধিনায়ক পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরির দেখা। নেপিয়ারে দিনটি বাংলাদেশের জন্য যেন হয়ে উঠলো সবকিছুই ‘পারফেক্ট’ কম্বিনেশন। এমন পারফেক্ট কম্বিনেশনে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে হারালো বাংলাদেশ। ৪২ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। নেপিয়ারে জয়ের বীজটা অবশ্য বুনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ম্যাকলিন পার্কে অবিশ্বাস্য বোলিং করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। শরিফুল-সৌম্য-তানজিমদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে খেই হারান কিউই ব্যাটাররা। নতুন বলে রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়ে তানজিম দারুণ শুরু এনে দেন বাংলাদেশ দলকে। পরে শরিফুল দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে টানা ৩ ওভারে নেন ৩ উইকেট। ফিরে তানজিম আরেকটি উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং অর্ডার এলোমেলো করে দেন। সৌম্যও টানা তিন ওভারে উইকেট নিলে ৩১.৪ ওভারে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে উইল ইয়াংয়ের ব্যাট থেকে। অধিনায়ক টম ল্যাথাম খেলন ২১ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর গড়েছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৬২, মিরপুরে। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তাদের শতরানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার নবম ঘটনা। সৌম্য-শরিফুল-তানজিমদের দিনে মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন বিবর্ণ। সৌম্য, শরিফুল ও তানজিম নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ৭ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তানজিম। শেষ ব্যাটার ও’রোর্কেকে ফিরিয়ে মোস্তাফিজ একটি উইকেট নেন।

xস্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলেও তাদের কন্ডিশনে কখনোই ন্যুনতম প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। এমনিতেও নিজেদের মাঠে কিউইরা বরাবরই অপ্রতিরোধ্য। টানা ১৭ ম্যাচ অপরাজিত নিউজিল্যান্ড আজ জিততে পারলেই অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলতে পারতো। কিন্তু তা হতে দেয়নি বাংলাদেশ। কিউই অংহকার গুঁড়িয়ে দিয়ে তার অবিস্মরণীয় এক জয় তুলে নিয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বরাবরই হতাশাজনক ছিল। গত বছর জানুয়ারিতে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। ওটাই ছিলো কিউই কন্ডিশনে বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য। এবার সেটিকে ছাপিয়ে গেলো। তামিম-সাকিববিহীন বাংলাদেশ দারুণ প্রভাব বিস্তার করে অবিস্মরণীয় জয় পেলো শুধু ম্যাচ জিতেছে বললেও ভুল হবে। গত ১৬ বছরে ৭ বার নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ। আগে ছয় সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিং-বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে এবার হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়িয়েছে শান্ত-শরিফুল-তানজীম সাকিবরা।
অধিনায়ক শান্ত ম্যাচের আগের দিনই আত্মবিশ্বাসী সুরে জানিয়েছেন, শেষ ম্যাচটা তারা জিততে মুখিয়ে আছেন। আজ ১৬তম ওভারে আদিত্য অশোকের প্রথম বলে ডাবল নিয়ে শান্তই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টেও দলকে সাফল্যে ভাসিয়েছেন। ওয়ানডেতে সাফল্য পেতে কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়েছে। সবমিলিয়ে ৬ষ্ঠ ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছেন নবীন এই অধিনায়ক।
নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডকে ৯৮ রানে অলআউট করে জয়ের সুবাস আগেই পাচ্ছিলো বাংলাদেশ। তবুও ম্যাচটা যে খেলেই জিততে হবে, তাই শঙ্কাও কম ছিল না। ৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে চোখের সমস্যার কারণে পঞ্চম ওভারে মাঠ ছাড়তে হয় আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ার সৌম্য সরকারকে। দ্বিতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে ৫০ বলে ৬৯ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন শান্ত। জয় থেকে যখন ১৫ রান দূরে তখন উইলিয়াম ও’রোর্কের শিকার হন বিজয়। ৩৩ বলে ৭ চারে সাজান নিজের ৩৭ রানের ইনিংসটি। এরপর লিটনকে নিয়ে বাকি পথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন শান্ত।
অশোকের প্রথম বলে ডাবল নিয়ে শান্ত ২০৯ বল বাকি রেখেই ৯৯ রানের লক্ষ্যটা ছুঁয়ে ফেললেন, তাতে দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ অধিনায়ক পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরির দেখা। নেপিয়ারে দিনটি বাংলাদেশের জন্য যেন হয়ে উঠলো সবকিছুই ‘পারফেক্ট’ কম্বিনেশন। এমন পারফেক্ট কম্বিনেশনে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে হারালো বাংলাদেশ। ৪২ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
নেপিয়ারে জয়ের বীজটা অবশ্য বুনে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ম্যাকলিন পার্কে অবিশ্বাস্য বোলিং করেছেন বাংলাদেশের পেসাররা। শরিফুল-সৌম্য-তানজিমদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে খেই হারান কিউই ব্যাটাররা। নতুন বলে রাচিন রবীন্দ্র ও হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়ে তানজিম দারুণ শুরু এনে দেন বাংলাদেশ দলকে। পরে শরিফুল দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে টানা ৩ ওভারে নেন ৩ উইকেট। ফিরে তানজিম আরেকটি উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের ব্যাটিং অর্ডার এলোমেলো করে দেন। সৌম্যও টানা তিন ওভারে উইকেট নিলে ৩১.৪ ওভারে থেমে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। সর্বোচ্চ ২৬ রান আসে উইল ইয়াংয়ের ব্যাট থেকে। অধিনায়ক টম ল্যাথাম খেলন ২১ রানের ইনিংস।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর গড়েছে নিউজিল্যান্ড। এর আগে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৬২, মিরপুরে। সব মিলিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তাদের শতরানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার নবম ঘটনা। সৌম্য-শরিফুল-তানজিমদের দিনে মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন বিবর্ণ। সৌম্য, শরিফুল ও তানজিম নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। ৭ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তানজিম। শেষ ব্যাটার ও’রোর্কেকে ফিরিয়ে মোস্তাফিজ একটি উইকেট নেন।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩ | সময়: ৭:১৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ