বড়াইগ্রামের উদ্ভাবিত ডালি পদ্ধতি এখন গণভবনে

বড়াইগ্রাম প্রতিনিধি: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ^াস বলেছেন, বড়াইগ্রামে উদ্ভাবিত জলাবদ্ধ অনাবাদি জমিতে ডালি পদ্ধতিতে সব্জি চাষ গোপালগঞ্জ হয়ে বর্তমানে গণভবনে পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত আগ্রহে গণভবনে এ পদ্ধতিতে শসা, লাউ, ঝিঙাসহ অন্যান্য সব্জি চাষ হচ্ছে। দেশে সোয়া দুই লাখ হেক্টর আবাদযোগ্য অনাবাদি জমি রয়েছে, তার মধ্যে ২০ হাজার হেক্টর জমি জলাবদ্ধ।
এসব জলাবদ্ধ জমির পানিতে স্বল্প সময়ে দ্রুত বর্ধনশীল মাছ চাষ এবং উপরে ডালি ও বস্তা পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে প্রতি ইঞ্চি মাটি চাষাবাদের আওতায় আনার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি শুক্রবার দুপুরে নাটোরের বড়াইগ্রামের বাটরা গ্রামে চিনাডাঙ্গা বিলে জলাবদ্ধ জমিতে ডালি পদ্ধতিতে সব্জি চাষ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে আয়োজিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক আশরাফ উদ্দিন, রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ, ব্র্যাক কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ফোকাল পার্সন ড. বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক সালাহ উদ্দিন সরদার, বগুড়া অঞ্চলের এডি সরকার শফি উদ্দিন ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মুরাদ হোসেন শাহিদ। পরে প্রধান অতিথি উপজেলার গড়মাটিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ কর্তনের উদ্বোধন করেন।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৩ | সময়: ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ