তানোর – গোদাগাড়ীবাসীর ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চাই : ডালিয়া

স্টাফ রিপোর্টার : 
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে (রাজশাহী-১) তানোর -গোদাগাড়ী আসনে স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করবেন ছাত্রলীগের কর্মি থেকে উঠে আসা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আয়েশা আক্তার জাহান ডালিয়া। গোদাগাড়ী ঘনশ্যামপুর গ্রামে তাঁর পৈত্রিক বাড়ি। স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে এবারের সংসদীয় নির্বাচন নিয়ে দৈনিক সানশাইন এর সাথে একান্ত আলাপকালে জানিয়েছেন তানোর – গোদাগাড়ী নিয়ে নিজের ভাবনা।

সানশাইন :  পরপর পাঁচবার আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটে অংশ নিচ্ছেন, সার্বিক প্রস্তুতি কেমন ?
ডালিয়া : আমার প্রধান শক্তি হচ্ছে তানোর গোদাগাড়ীর অবহেলিত জনগন। জনগণ আমাকে চায়, আর আমি তাদের পাশে থাকতে চাই। কারণ আমি জনগণকে ভালোবাসি। এমপি হয়ে প্রভু নয় সেবক হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে একসাথে এই দুই উপজেলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চাই। রাজশাহীর এই দুই উপজেলায় শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত অথচ এখানে কৃষি ভিত্তিক কোন কারখানা গত ২০ বছরে গড়ে ওঠেনি। অথচ সুযোগ ছিল ফ্যক্টরি তৈরি করে এলাকায় ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটানোর। যার কারনে এবার নেতাকর্মিরা অনেকেই আমার পাশে এসেছেন। আমি চাই তাদের অর্থনৈতিক, শিক্ষার উন্নয়ন সহ সামগ্রিক উন্নয়ন করতে।

 

 

সানশাইন : আপনার বাবার বাড়ি গোদাগাড়ী,সেখানের মানুষের চাহিদা বা অভিব্যক্তি কি ধরণের ?
ডালিয়া: গোদাগাড়ীর বাসুদেবপুর ইউনিয়নের ঘনশ্যামপুর গ্রামে আমার পৈত্রিক বাড়ি। এখানে আমি একটা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি। এছাড়া ৬২ কাঠা জায়গা কিনে এখানে একটি কলেজ করে দিচ্ছি কারন আশেপাশের দশ গ্রামের মধ্যে আর কোন কলেজ নেই। এখানে গরীব ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করবে বিনামূল্যে। আমি যদি সংসদ সদস্য হতে পারি এ ধরণের কাজ আরো বেশি করার সুযোগ পাবো। ফলে এ দুই উপজেলার উন্নয়ন হবে। এখানেই তারা চাকরি, ব্যবসা, কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে। এখানে কৃষি নিয়ে ব্যাপক কাজ করার সুযোগ রয়েছে। টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, হাসপাতাল করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে আমার। এখানে আম নিয়ে অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। আম বাইরে রপ্তানি ছাড়াও আচারের জন্য ব্যাপক চাহিদা সব জায়গায়। আমের জুসের কারখানা করা যেতে পারে। আলু, টমেটো নিয়ে বড় ধরনের চিন্তা করেছি সেটি ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হবে।

 

 

 

সানশাইন :তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থির কথা শোনা যা”েছ বেশি এ আসনের জন্য কি পরিকল্পনা রয়েছে ?
ডালিয়া : আমরা আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসতে পারবো বলে মনে করছি।

 

 

 

 

সানশাইন : বর্তমান সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়ে বেশ কিছু খবর গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কি ?
ডালিয়া : ফারুক চৌধূরীর নিয়োগ বানিজ্য বিষয়ে আমি মন্তব্য করবো না তবে যারা ভূক্তভোগী তারাই আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে বলে আমি আশাবাদি।

 

 

সানশাইন :কয়েকবছর ধরে এলাকায় কাজ করছেন, দুই উপজেলার তৃনমূলের জনগন কি ভাবছে এ নির্বাচনকে ঘিরে?
ডালিয়া : তৃনমূলের সাথে আমার আত্নার সম্পর্ক।এখানকার জনগণ খুব ভালো। অতি সাধারন জীবন যাপন করে। খুব অল্পতেই তুষ্ট হয়ে যায়। তাদের বেশিরভাগ মানুষের চাওয়া হিসেবে যেটা দেখেছি রাস্তাঘাট, মসজিদ মাদ্রাসাগুলোর উন্নয়ন। আমি এটি শতভাগ করতে চাই যেটা গত চারবার এমপি থাকার পরও সম্ভব হয়নি।

 

সানশাইন : ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে কি পরিকল্পনা রয়েছে ?
ডালিয়া : এ দুই উপজেলায় রাজশাহী জেলার বেশিরভাগ নৃগোষ্ঠির মানুষ বসবাস করে। আমি এখানের মেয়ে। প্রথম থেকেই দেখে আসছি এ সম্প্রদায়ের জীবনমানের কোন পরিবর্তন হয়নি। তাদেরকে নিয়ে আমি কাজ করছি। আমি তাদের চাহিদাও কিছু পূরণ করতে পেরেছি। ললিত নগরে এ সম্প্রদায়ের একটি শশ্মান দখল হয়ে যাচ্ছিলো আমি সেটি উদ্ধার করে দিয়েছি। তাদের পানি পানের জন্য পাম্প বসিয়ে দিয়েছি এখানে প্রায় লাখের কাছাকাছি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি ও সনাতন ধর্মের মানুষ এ দুই উপজেলায় রয়েছে। তাদের বা”চারা যেনো সঠিকভাবে স্বাস্থ্য সেবা পায়,শিক্ষিত হয় মোট কথা আমাদের মতো তারাও যেনো সকল ধরণেল সুযোগ সুবিধা পায় সেদিকে আমার বিশেষ দৃষ্টি রয়েছে।

 

সানশাইন : রাজনীতিতে কিভাবে আসা হলো ?
ডালিয়া: আমি কলেজ জীবনে ছাত্রলীগের কর্মিদের সাথে থাকতাম সবসময়। সেসময় থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা ও দেশনেত্রী শেখ হাসিনা আপার প্রতি অবিচল আস্থা, ভালোবাসা, প্রেরণা, ও তার দেশ চালানো দেখে আস্তে আস্তে রাজনীতিতে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েছি। এছাড়া বাঘা চারঘাট আসনের সংসদ সদস্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের জন্য নির্বাচনী মাঠে কাজ করতে গিয়ে সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি।

 

সানশাইন : জয়ের বিষয়ে সম্ভাবনা কেমন ?
ডালিয়া : আমি জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী। আমাদের নেত্রী যেহুতু বলে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করা যাবে। সেহুতু স্বতন্ত্র প্রার্থি হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ের মালা পড়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আপাকে এ আসন উপহার দিতে পারবো।

সানশাইন / শামি


প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৩ | সময়: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine