রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুটে ট্রেন চালুর দাবি

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর-ভারত-নেপাল দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। টানা ২৫ বছর ধরে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করলেও যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবিও বহু পুরনো। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের অবগত করা হবে বলে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই ভারত সফরে যান তখনই দু-দেশের জনগণ আশায় বুক বাঁধেন রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর বিষয়ে। সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে ঘিরে আবারও স্বপ্ন দেখছেন রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ। সাথে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার বাসিন্দারাও। তারা এ রুট দিয়ে যে কোন একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের দাবি জানিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
এরই অংশ হিসেবে আবারও এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি বাস্তবায়নে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর কাছে এ দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
রহনপুর রেলবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হুদা খান রুবেল জানান, ব্রিটিশ সরকার ১৯১৭ সালে রহনপুর থেকে ভারত রেল যোগাযোগ স্থাপন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগ পর্যন্ত এ রুটে ট্রেন চলাচল করেছে। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২৫ বছর পর ১৯৯০ সালে রুটটি পুনরায় চালু হয়। যা এখনো অব্যাহত আছে। এখন এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। এ বন্দর দিয়ে প্রায় প্রতিদিন ভারত থেকে পেঁয়াজ, গম, ভুট্টা, ক্লিংকার ও ফলমূল বাংলাদেশে আসে। রহনপুর থেকে রেলপথে ভারতের দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। ভারত-নেপাল সীমান্তবর্তী স্টেশন রক্সাল ও যোগবানী স্টেশনের দূরুত্ব অনেক কম। এছাড়া এ রুটটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়েতে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ভারত ও নেপালের রাষ্ট্রদূত এই রেলপথ পরিদর্শন করে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। বর্তমানে রহনপুর থেকে ভারত হয়ে নেপাল রেল ট্রানজিট চালু রয়েছে। এর ফলে ভারতের বিহার রাজ্যের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে নেপালের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।
এর আগে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়ের এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী সদর আসেনর সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাও এ রুট দিয়ে রাজশাহী থেকে রহনপুর-সিঙ্গাবাদ-মালদহ হয়ে কলকাতা (বাংলাদেশ-ভারত) যাত্রীবাহী মৈত্রী ট্রেন চলাচল চালু করার আবেদন করেছিলেন। এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে দু-দেশের পর্যটনের নন্তন দিগন্তের সূচনা হবে। এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী স্টেশন রহনপুর ও ভারতের সীমান্তবর্তী স্টেশন সিঙ্গাবাদে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস অফিস নির্মাণে যথেষ্ট জায়গা রয়েছে ।
ভারতের মালদহ (সিঙ্গাবাদ) সংসদ সদস্য খগেন মুর্মু এ বিষয়ে তার সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য জিয়াউর রহমান জানান, রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত-নেপালের মধ্যে একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালুর দাবিটি সম্মিলিত উদ্যোগ। এ বিষয়ে রেলমন্ত্রীকে একটি ডিও লেটার প্রদান করা হবে।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ | সময়: ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ

আরও খবর