বাঘার আমোদপুরে পরপর দুইবার পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

স্টাফ রিপোর্টার,বাঘা :
তিন গ্রামের টার্নিং পয়েন্ট (বাঁক) স্থানটির নাম “আমোদপুর কতবেল তলা’। এই জায়গার পূর্ব-উত্তরে আমোদপুর গ্রাম, দক্ষিনে বাজুবাঘা নতুন পাড়া এবং পশ্চিমে চক আমোদপুর। এখানে জামাত-বিএনপি’র ডাকা প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের আবরোধে মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে ফোটানো হয়েছে ৬ টি পেট্রোল বোমা। এতে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে একটি পিকাপ ও একটি বাস। পুলিশের ভুমিকা ইতিবাচক। তারা ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার সহ ঘটনাস্থল থেকে একটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেছে তবে এলাকাবাসীদের দাবী, এখন পর্যন্ত অটক হয়নি এলাকার চিহৃত সন্ত্রাসী ও বোমা হামলা কারিরা ।

স্থানীয় লোকজন জানান, বাঘা পৌর সভার পাশ দিয়ে আড়ানী পৌর সভা যাওয়ার রাস্তায় একটি বড় ধরনের বাঁক(টার্নিং) রয়েছে। এই জায়গাটিকে বলা হয় “আমোদপুর কতবেল তলা’’। এই রাস্তা দিয়ে যে কোন পরিবহন যেতে হলে উক্ত স্থানে গাড়ির গতি কমিয়ে আনতে হয়। আর এ সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে সরকার পতনের ইস্যু নিয়ে আন্দোলনকারী জামাত-বিএনপি’র কতিপয় সন্ত্রাসী ও পিকেটার বাহিনী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অত্র এলাকার জামাত-বিএনপি’রা গত পাঁচ দিনের পূর্বে সন্ধ্যার পর একটি পিকাপ (মিনি ট্রাক)এবং সর্বশেষ সোমবার (৬ নভেম্বর) অবরোধ শেষে রাত সাড়ে ৭ টায় একটি চলন্ত বাসে জানালা লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এর ফলে পিকাপটির সামনের গ্লাস ভাঙ্গা-সহ আগ্নী কান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রন করেন। অত:পর পুলিশ এসে ডাইভারকে গুরুত্ব আহত অবয় স্থানীয় বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের নিয়ে চিকিৎসা দেন। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার। তিনি ঐ ডাইভারকে ঔষধ কেনার জন্য নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন। অপর দিকে বাসের দুটি জানালা ভাংচুর নিয়ে চতুর ডাইভার সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় এবং পুলিশকে ফোন করে ঘটনা অবগত করেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেন।

এদিকে খবর পেয়ে তাৎক্ষনাত বাঘা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খাইরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোস নিয়ে ঘটনা স্থালে এসে রাস্তার উপর বাসের জানালা ভাংগা কাঁচের অসং টুকরো পান এবং রাস্তার পাশে একটি আম গাছের নিচে থেকে বড় ধরনের একটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করেন বলে তিনি স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের জানান। ওসি বলেন, আমি পৃথক দুটি ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আপ্রান চেষ্টা করছি এবং ইতোমধ্যে কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছি।

 

 

এ বিয়ে আমোদপুর ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, যে স্থানে পর-পর দুইটা গাড়িতে আবরোধের নামে জামাত-বিএনপিরা পেট্রোল বোমা ছুড়েছে সেখানে এর আগেও অনেক নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। মুলত: এই জায়গাটি বাঘা পৌর সভার মধ্যে। এখানে বড় ধরনের বাঁক (টার্নিং) থাকায় পরিবহন চালকরা গাড়ির গতি কমায়। আর এই সুযোগ টিকে কাজে লাগায় পিকেটার বাহিনী।

তিনি এই তিন গ্রামের মধ্যে বাজুবাঘা নতুন পাড়া এবং চক আমোদপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বিএনপি এবং আমোদপুরকে জামাত অধ্যসিত এলাকা বলে উল্লেখ করেন। সাইফুল ইসলাম আরো বলেন, বর্তমানে পৃথক দুটি ঘটনার পর সেখানে অত্র এলাকার ছাত্রলীগ কর্মীদের অবরোধ বিরোধী অবস্থানে রেখেছি।

সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও এ্যাডিশনাল এসপি রফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাস ও নাশকতাকারীদের সাথে কোন আপোশ নেই। যারা দেশের সম্পদ নষ্ট করবে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পর্যায় ক্রমে এসব অপরাধীদের গ্রেফতার করছি। তিনি এ বিষয়ে সমাজের বিবেকবান মানুষ ও সুধীজনদের সহযোহিতা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

সানশাইন/সোহরাব

 


প্রকাশিত: নভেম্বর ৮, ২০২৩ | সময়: ৫:২২ অপরাহ্ণ | Daily Sunshine