সকল ধর্মের মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে দিয়েছেন জাতির জনক : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

নুরুজ্জামান,বাঘা :

রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, সকল ধর্মের মানুষকে এক সুতোয় গেঁথে দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর স্বপ্ন ছিল অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার। এটি বাস্তবায়ন করে চলেছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সব সময় একটি কথায় বলেন, ধর্ম যার-যার উৎসব সবার।

শুক্রবার(২০-অক্টবর) দুপুরে বাঘার আড়ানীতে অবস্থিত তাঁর নিজ বাসভবনে শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে বাঘা উপজেলার পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে-শ্রী সুজিত কুমার ওরুপে বাকু পান্ডে ও সাধারণ সম্পাদক অপুর্ব কুমার সাহা এবং চারঘাট উপজেলার পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী স্বপন কুমার সরকার ও সাধারণ সম্পাদক রাহুল ঘোষ এর হাতে সর্বমোট ৪ হাজার ৫ শ’ পিচ শাড়ি এবং ৫ হাজার ৫ শ’ পিচ গেঞ্জী তুলে দেয়ার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। এক সময় পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর টার্গেট করেছিল। কিন্ত তাতে কোন লাভ হয়নি। ভবিষ্যতেও হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অসম্প্রদায়িক চেতনা বুকে ধারণ করে রাজনীতি করেন। আমরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা চাইনা। আমরা চাই সত্য,ন্যায় ও শান্তি রক্ষার মাধ্যমে সকল ধর্মের মানুষকে সাথে নিয়ে একসাথে পথ চলতে। তিনি পূজা উৎযাপন কমিটির নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আমি আপনাদের হাতে যে উপহার তুলে দিলাম সে গুলো আনুপাতিক হারে প্রতিটা পূজা মন্ডপে পৌঁছে দিবেন। আমি প্রতিবছর আপনাদের উৎসবে এলাকায় আসি। এবারও এসছি। যে ক’দিন এলাকায় রয়েছি, আজ বিকেল থেকে পর্যায় ক্রমে দুই উপজেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করবো।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চারঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন ও আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী সহ দুই উপজেলা হিন্দু সম্প্রদায়ের শত-শত মানুষ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

বাঘা উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি শ্রী সুজিত কুমার ওরুপে বাকু পান্ডে বলেন, ধন দৌলত অনেকের রয়েছে। তবে সকলের মনমানসিকতা এক রকম নয়। আমি গর্বের সাথে বলছি, আমরা দেশ স্বাধীনের পর চারঘাট-বাঘায় অনেক এমপি-মন্ত্রী পেয়েছি। তবে অতীতে কেউ শাহরিয়ার হয়ে আসতে পারেনি। তিনি গত ১৫ বছর আমাদের উৎসবে শরিক হন এবং নগদ অর্থ সহ কাপড় বিতরণ করেন। শুধু আমাদের মাঝেই নয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি থেকে শুরু করে সকল ধর্মের মানুষকে সমান ভাবে ভালো বাসেন এবং অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে এলাকায় অনেক বেশি উন্নয়ন মূলক কাজ করে চলেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর বাঘা উপজেলায় ৪৭ টি স্থানে শারদীয় দুর্গোৎসব(পূজা) অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং চারঘাট উপজেলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪০ টি স্থানে।