শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু, আজ ষষ্ঠী

স্টার্ফ রিপোর্টার: ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা আজ শুক্রবার শুরু হচ্ছে। আজ দেবী দুর্গার বোধনের দিন; বোধন শব্দটির অর্থ জাগ্রত করা। মর্ত্যে দুর্গার আবাহনের জন্য বোধনের রীতি প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। পাঁচ দিনের এই উৎসব শেষ হবে ৫ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর দেবী দূর্গার আবাহন বা মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেবীপক্ষের। জগতের মঙ্গল কামনায় এবার দেবীর আগমন ঘটছে ঘোড়ায় চড়ে। ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে দেবী দূর্গা বিদায়ও নেবেন ঘোড়ায় চড়ে। শ্বশুরবাড়ি কৈলাস থেকে কন্যারূপে তিনি বাপের বাড়ি বেড়াতে মর্ত্যলোকে আসছেন।
শুক্রবার মহাষষ্ঠী তিথিতে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের বার্ষিক শারদীয় দুর্গোৎসবে আজ সকালে কল্পারম্ভো দিয়ে উৎসব শুরু হবে এবং পরে দেবী দূর্গাকে জাগিয়ে তোলার জন্য তারপরে বিকেলে মন্দির চত্বরে বেল গাছের গোড়ায় অধিবেশ, আমান্তরণ (আমন্ত্রণ) ও বোধনের (অবতার) আয়োজন করা হবে।
হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, দেবীর পূজার আদর্শ সময় হল বসন্ত। শরৎকে সেই ঋতু হিসাবে বিবেচনা করা হয় যেখানে ‘দেবতা’ বা হিন্দু দেবতারা বিশ্রামে যান। যদি এই সময়ে দেবতাদের ডাকতে হয় তবে তাদের ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি ‘বোধন’ নামে পরিচিত যা একইভাবে সন্ধ্যায় করা হয়। এই অনুষ্ঠানের সময় বেল গাছের গোড়ায় একটি জল ভর্তি কলস (পাত্র) রাখা হয়। দেবতার মুখ উন্মোচন করা হয়, দেবীর কাছে প্রার্থনা করা হয়; এর পরে হয় আমন্ত্রণ এবং আদিবাসের আচার-অনুষ্ঠান, যার মাধ্যমে দেবতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এবং এক জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এই পর্যায়ে, বিবাহিত মহিলারা তাদের কপালে সিঁদুর (সিঁদুর) লাগান, নতুন শাড়ি পরেন এবং পবিত্র গঙ্গার জল -এর মাধ্যমে দেবীকে স্বাগত জানান।
পুরাণে আছে, অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্যুত হয়েছিলেন। এই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। অসুর শক্তির বিনাশে অনুভূত হলো এক মহাশক্তির আবির্ভাব। দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হলেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা।
দূর্গাপূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানাবেন। আজ সকাল থেকে রাজশাহী মহানগরীতে পবিত্র শ্রী শ্রী চণ্ডীর শ্লোক পাঠ, শঙ্খ বাজানো এবং মন্দির ও প্যান্ডেলে ঐতিহ্যবাহী ঢাক-ঢোল,কাশোর বাজানো শুরু হবে এবং ২৪ অক্টোবর বিজয়াদশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী পাঁচ দিন শারদীয় দুর্গোৎসব অব্যাহত থাকবে।


প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৩ | সময়: ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ