শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।
স্টাফ রিপোর্টার: জিতিয়া উদযাপন কমিটির আয়োজনে এবং সিসিবিভিও-রাজশাহী, রাজশাহী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমী কারিতাস, ইউসেপ বাংলাদেশ ও রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সহযোগিতায় গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পোৗরসভা হলরুমে ঐতিহ্যবাহী জিতিয়া পার্বণ অনুষ্ঠিত হয়।
মাহালী জনজাতির পাঁচ শতাধিক সদস্যের উপস্থিতিতে ঐতিহ্যবাহী “ডাল ভাত ঝিঙ্গাইং তরকারী, জিতিয়া পরবো ভারি” স্লোগানকে সামনে রেখে ঐতিহ্যবাহী আচার, অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও নাচ ও গানের মাধ্যমে জাকজমকপূর্ণভাবে সারাদিন ব্যাপী জিতিয়া পার্বণ চলে।
জিতিয়া পার্বনের শুরুতে বর্নাঢ্য র্যালী শেষে জিতিয়ার ঠাকুরকে বরণের মধ্য দিয়ে এই পার্বনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জিতিয়া ঠাকুর আচার রীতি ও পিঠা আর্শিবাদ ও পিঠা বিতরন এবং জিতিয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা করেন। পরিশেষে বিশেষ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসক, সমাজসেবী ও মাহলে আদিবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র সভাপতি লক্ষীরাম মাহালী। জিতিয়া উদযাপন কমিটির সভাপতি সিষ্টি বারে’র সভপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের কল্যাণী বিশ^বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহাকারী অধ্যাপক, সামজসেবী ও মাহলে আদিবাসী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র সাধারণ সম্পাদক কালাচাঁন মাহালী, মাহলে ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড ডেভলপমেন্ট কমিটি (এমএলডিসি)-এর সভানেত্রী ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মাসাউস’র নির্বাহী পরিচালক মেরিনা হাঁসদা, রাজশাহী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একডেমীর গবেষণা কর্মকর্তা বেঞ্জামিন টুডু, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সিসিবিভিও’র উর্দ্ধতন মাঠ কর্মকর্তা ও ইনচার্জ নিরাবুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রক্ষাগোলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি সরল এক্কা, মেনোনাইট সেন্ট্রাল কমিটি, বাংলাদেশ (এমসিসিবি)-এর প্রতিনিধি চাদ স্টুয়ার্ট, সহকারী অধ্যাপক জগেন্দ্রনাথ সরেন, সমাজকর্মী শেলী প্রিশিল্লা বিশ^াস ও মাহালী মুন্ডুমালা মাহালী গ্রামের মাঞ্জি হাড়াম যোহন মুরমু সহ মাহলে সমাজের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগণ।
অতিথিদের বক্তব্য শেষে রাজশাহীর সকল মাহালী গ্রাম থেকে আগত সাংস্কৃতিক দলসমূহ তাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবশেনর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।