সর্বশেষ সংবাদ :

স্ত্রীকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করে বিপাকে স্বামী

স্টাফ রিপোর্টার, দুর্গাপুর: গত কয়েক বছর ধরে স্ত্রী সাইরিন খাতুনকে উত্যক্ত করে আসছিলো পাশ্ববর্তী গ্রামের সজীব নামের এক যুবক। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় আপত্তিকর কথা বলে ভয়ভীতিও দেখাতো। হুমকী-ধামকি দিয়ে টাকাও হাতিও নিতো। তবে এসবের কিছুই জানতেন না স্বামী আনোয়ার শরীফ। যেদিন জানলেন, সেদিন থেকে আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না আনোয়ার শরীফ। শেষমেশ বিষয়টি গড়িয়েছে থানা পুলিশে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার গুলালপাড়া গ্রামে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত বখাটে যুবক সজীবের বাড়ি উপজেলার বাজুখলসী গ্রামে। সে ওই গ্রামের বাবুর ছেলে। এলাকার নারী ও গৃহবধুদের মোবাইল ফোনে উত্যক্ত করা ও প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা নেয়ায় তাঁর কাজ। একইভাবে গৃহবধু সাইরিন খাতুনকে উত্যক্ত করে আসছিলো সে। আপত্তিকর কথা বলে বেশ কিছু টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে সে।
আনোয়ার শরীফ অভিযোগ করেন, গত ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি কানপাড়া বাজারে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন। তিনি পেশায় গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা মোবাইল ফোনে খবর দেয়, বখাটে সজীব তাঁর বাসায় ঢুকে তাঁর স্ত্রীকে উত্যক্ত করছে এবং জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারনের চেষ্টা করছে।
এরপর বাসায় গিয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় বখাটে সজীবকে ধরলেও সজীবের সহযোগী রকি ও রনি পালিয়ে যায়। এ সময় সজীবকে ধরে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়। থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে বখাটে সজীবকে ধরে নিয়ে গেলেও পরে শুনেছি তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
আনোয়ার শরীফ আরও বলেন, এখন উল্টো আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকী দিচ্ছে বখাটে। এমনকি আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও যেতে পারছিনা। লাঠিসোঁটা ও হকস্টিক নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে পাহারা বসিয়েছে। আমি এখন কি করবো বুঝতেছিনা।
দুর্গাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নয়ন হোসেন জানান, কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩ | সময়: ৫:২৭ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ