ঢাকাকে হারিয়ে চট্টগ্রামের তিনে দুই

স্পোর্টস ডেস্ক: বিপিএলে দারুণ সময় কাটছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান রানর্সআপ সিলেট স্টাইকার্সকে হারিয়ে শুরু। দ্বিতীয়টিতে খুলনা টাইগার্সের কাছে হারলেও নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের ধারায় ফিরেছে চট্টগ্রাম। সোমবার ঢাকাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে শুভাগত হোমরা।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চট্টগ্রাম। দারুণ বোলিংয়ে ১৩৬ রানেই শেষ করে ঢাকার ইনিংস। জবাবে খেলতে নেমে ২৮ রানে দুই উইকেট হারালেও জয় পেতে সমস্যা হয়নি দলটির। তানজিদ হাসান তামিমের ৪৯ রানের পর শাহাদাত হোসেনের ২২ এবং নাজিবুল্লাহ জাদরানের ১৯ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসের ওপর ভর করে ১০ বল আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। ঢাকার বোলারদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম দুটি এবং তাসকিন ও ওসমান কাদির একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় ঢাকা। চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ঢাকা ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তোলে। তবে ইনিংসের শুরুতে কনকাশন সাব নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা হয়। ইনিংসের শুরুতেই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মাঠ ছাড়েন ঢাকার শ্রীলঙ্কান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা। তার বদলে স্বাভাবিকভাবে ১৫ জনের স্কোয়াড থেকে কনকাশন সাব নেওয়ার সুযোগ ছিল ঢাকার। কিন্তু স্কোয়াডের বাইরে থেকে আরেক লঙ্কান ব্যাটার লাসিথ করসপোলকে বদলি হিসেবে নামানো হয়।
জানা গেছে, করসপোলকে গুনাথিলাকার বদলি নেওয়ায় ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসানের কাছে আপত্তি জানিয়েছিল চট্টগ্রাম। তবে রকিবুল তাদের জানিয়েছেন, তারা নিয়মের মধ্যেই সব অনুমোদন দিয়েছেন। ঢাকার স্কোরকে একশো রানের উপরে নেওয়ার পেছনে অবদান কনকাশন সাব হিসেব নামা করসপোলেরই। দলের সর্বোচ্চ ৪৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান এই লঙ্কান ব্যাটার। এছাড়া ইরফান শুক্কুর ২৭ ও অ্যালেক্স রসের ব্যাট থেকে আসে ১১ রানের ইনিংস। দলের আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি।
চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে আল আমিন হোসেন ও বিলাল খান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া শুভাগত, নিহাদুজ্জামান ও কার্টিস ক্যাম্ফার একটি করে উইকেট নেন।


প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৪ | সময়: ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ