শনিবার, ১৩ই আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে শ্রাবণ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
সানশাইন ডেস্ক: দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। কয়েকদিন ধরে জেলায় ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। বিকাল থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার পাশাপাশি উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাস বইছে। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, রবিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া উপজেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবারও এখানে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ থেকে পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ আরও বাড়বে। এ ছাড়া ঘন কুয়াশার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, দিনে রোদের তেজ থাকায় রবিবার ২৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি, শনিবার ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি, শুক্রবার ২৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি এবং বৃহস্পতিবার ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে এবার পঞ্চগড়ে একটানা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও দিন ও রাতের তাপমাত্রার বেশ পার্থক্য থাকছে। রাতে ও সকালে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে, আবার দিনের মধ্যভাগে থাকছে রোদের তাপ।
জেলা শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে। সেই সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশকের কারিগররা। দুর্ঘটনা এড়াতে যানবাহনগুলো সাবধানে যাতায়াত করছে। দিনের বেলাও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তীব্র শীতে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়েছে। তাদের কাজে অংশ নিতে দেরি হচ্ছে। এ ছাড়া অনেকে কাজ না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রাণোচ্ছাসের অ্যাডভোকেট মোস্তফা কামাল মিলন জানান, সরকারি বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে সবাই এখানে কম্বল বিতরণ করছেন। গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্য জ্যাকেট, সোয়েটার বিতরণ করতে পারলে ভালো হয়।
জেলা পরিবেশ পরিষদের সভাপতি ও পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক তৌহিদুল বারী বাবু জানান, দ্রুত সূর্য উদয় হওয়ায় তাপমাত্রা প্রখর হয়। ফলে কুয়াশা ফরমেশন হয় না। এজন্য দিনের বেলা তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালের মতোই থাকে। বিকালে দ্রুত তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাতে ও সকালে তাপমাত্রা কম হচ্ছে। ভুগোলের ভাষায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পঞ্চগড়ে ‘সান রাইজ টু সানসেট’ আবহাওয়ার তারতম্যের সৃষ্টি হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, শীতবস্ত্রের চাহিদা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আরও শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া যাবে।