লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে আত্মগোপনে গোদাগাড়ী একাডেমিক সুপারভাইজার

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: বিদেশে পাঠানোর নাম করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন গোদাগাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুর রহমান। সে চাকুরির সুবাদে গোদাগাড়ীতে দীর্ঘদিন থাকায় অনেক মানুষের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে।
গোদাগাড়ী পৌর এলাকার রামনগর গ্রামে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে পাকা বাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলো। চাকুরি দেওয়া, বিদেশে পাঠানোসহ বিভিন্ন কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ভূক্তভোগীরা টাকার চাপ দিলে আব্দুর রহমান সেই বাড়ীটি গোপনে বিক্রি করে স্ত্রী-ছেলে মেয়ে নিয়ে চলে গেছে বলে জানা গেছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ থাকায় পাওয়া দারেরা তার সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না।
দুবাইয়ে পাঠানোর নাম করে মহিশালবাড়ী গ্রামের আজিজুল ইসলাম আব্দুর রহমানকে দুই দফায় তিন লাখ টাকা প্রদান করেন। টাকার নিশ্চয়তা হিসেবে আজিজুল ইসলামকে একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুর রহমান অগ্রণী ব্যাংক গোদাগাড়ী শাখার হিসাব নং ০২০০০০৮৬০৪২০৯ বিপরীতে ১২২১১৩৭১৬২৭ ও ১২২১১৩৭১৬২৮ দুটি চেক প্রদান করেন।
গত ১৬ জুলাই ব্যাংকে টাকা উত্তলন করতে গেলে দেখা যায় তার হিসেবে নম্বরে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা নেই। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপর্যাপ্ত তহবিল মর্মে চেক দুটি প্রত্যাখান করে দুইটি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন।
এই ঘটনার পর ভূক্তভোগী আজিজুল ইসলাম গত ২০ জুলাই রাজশাহী জজ কোর্টের আইনজীবি শাসমুল হকের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। লিগ্যাল নোটিশটি ডাক যোগে গোদাগাড়ীর রামনগর বাড়ীর ঠিকানায় দেওয়া হয় কিন্তু সেই বাড়ী বিক্রি করে চলে যাওয়ায় ডাক পিওন নোটিশটি পৌছাতে পারেননি।
শুধু আজিজুল ইসলামই না এমনি ভাবে একাডেমিক সুপার ভাইজার আব্দুর রহমান বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন থেকে একাডেমিক সুপার ভাইজার আব্দুর রহমান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসেও অফিস করেন না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানান, টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। অফিস থেকেও যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায় না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল আলমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে কল রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।


প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৩ | সময়: ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ