২ রাজশাহীতে নৌকার প্রার্থীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার : পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে আগামী ৫ জানুয়ারী। নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে রাজশাহীর ১৯টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।
দলীয় মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে বেশ কিছু ইউনিয়নে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ওই সব ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ২নং বেলপুকুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন দলটি নেতাকর্মীরা। এ সময় সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।
তবে তারা দলীয় প্রার্থী রাজিবুল হক এই ইউনিয়নে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বদি নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভ মিছিলের আগে সমাবেশে করা হয়। বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বদির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পুঠিয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন মুকুল, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান মাসুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ প্রমূখ।
আব্দুল মতিন মুকুল বলেন, দলীয় মনোনয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আত্মীয়কারণের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুপারিশ করে অযোগ্য ব্যক্তিকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন। যার দলে কোন অবদান নেয়। এছাড়াও সে আওয়ামী লীগ বিরোধী পরিবারের সন্তান। যাকে আমরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারিনা।
এ সময় তিনি বেলপুকুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি রাজিবুল হককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে আসাদুজ্জামান মাসুদ বলেন, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আব্দুল ওয়াদুদ দারা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজিবুল ছাত্রদল ও তার বাবা রায়হানুল হক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। দারা এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর তার সঙ্গে মিশতে শুরু করে এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত হয়। তাদের পরিবারের সদস্যরা এখনো জামায়াত ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও রাজিবুলের ব্যবসায়ীক পার্টনার এই ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান।
তিনি আরও বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনিত বর্তমান এমপি ডাঃ মুনসুর রহমানের পক্ষে থাকায় সাবেক এমপি দারা বদিউজ্জামান বদিকে মনোনয়ন দেননি।
বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বলেন, এই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের নাম কেন্দ্রে পাঠানোর কথা। কিন্তু কেন্দ্রে শুধু মাত্র একজনের নাম পাঠিয়েছেন আব্দুল ওয়াদুদ দারা। এতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন পুনবিবেচনার জন্য দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানান তিনি।


প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২১ | সময়: ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | সুমন শেখ